মির্জা আবুল কাসেম,
জগন্নাথপুর টাইমস অনলাইন ডেস্কঃ
সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গ্লোবাল লেবার মার্কেট কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বর্তমানে সৌদি আরবে সরকারি সফরে রয়েছেন।
আসিফ নজরুল বলেছেন, সৌদি আরবে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ দক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মী পাঠানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
সৌদি আরবের বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত মত বিনিময় সভায় তিনি বাংলাদেশের শ্রমবাজারের গুণগত পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর বিভিন্ন মেগা প্রকল্প যেমন নিওম, রেড সি, কিদ্দিয়া, গ্রিন রিয়াদ, আমালা, দিরিয়া ও রোশন প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি ২০২৭ সালে এএফসি এশিয়া কাপ, ২০২৯ সালে শীতকালীন এশিয়ান অলিম্পিক, ২০৩০ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো এবং ২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক ইভেন্টে কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সৌদি রিক্রুটমেন্ট কোম্পানিগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন, যারা বাংলাদেশের দক্ষ পেশাদারদের উপস্থিতি স্বীকার করলেও তথ্যের অভাব, মার্কেটিং, নেটওয়ার্কিং, ভিসাপ্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা, ভাষা প্রতিবন্ধকতা এবং বোর্ডিং-পূর্ব প্রশিক্ষণের অভাবের মতো চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন। তিনি এসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন এবং নিয়মিত শ্রম মেলা, সেমিনার এবং কোম্পানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি সৌদি কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ ও সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল দূতাবাসের ই-ডিমান্ড অ্যাটেস্টেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন, যার মাধ্যমে সৌদি কোম্পানিগুলো অনলাইনে নিবন্ধন করে দূতাবাসে না গিয়েই কর্মী চাহিদাপত্র সত্যায়িত করতে পারবে, যার মাধ্যমে এই কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আসবে। উপস্থিত সৌদি কোম্পানিগুলোর কর্তাব্যক্তিরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং স্বাগত জানান। মত বিনিময় অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন।
পরে উপদেষ্টা সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বিমান টিকিটের উচ্চ মূল্য এবং রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তাদের অভিযোগ শোনেন। তিনি এসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইট ব্যবহারের আহ্বান জানান। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তাঁদের কল্যাণে সরকারের আরও উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি সৌদি আরবের আইন ও সংস্কৃতি মেনে চলার এবং আইনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকার অনুরোধ জানান।
