অত্যধিক চিনি খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে
ডা. শাহজাদা সেলিম
::
মিষ্টি কারও কারও খুবই প্রিয়। সবকিছুতেই তাঁদের অতিরিক্ত চিনি লাগে। অনেকের চিনিযুক্ত কিছু না খাওয়া পর্যন্ত কিছুই ভালো লাগে না। অত্যধিক চিনি খাওয়ার ফলে এমন নির্ভরশীল আচরণ ও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
চিনি ডোপামিন নিঃসরণ, লোভের চক্র তৈরি এবং অতিরিক্ত খাওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কের পুরস্কারব্যবস্থাকে সক্রিয় করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিনির ওপর নির্ভরতা বাড়ে, বিপাকজনিত জটিলতাও বাড়ে। বলা হয়, সাদা চিনি বিষাক্ত। এটি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। এখানে চিনির বিষাক্ততার কিছু মূল দিক বলা যাক।
স্বাস্থ্য সমস্যা
● অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ, বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত খাবার ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার প্রধান কারণ।
● চিনির অতি ব্যবহার ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে বিপাকক্রিয়াকে চালিত করতে পারে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের একটি প্রধান কারণ।
● ফ্রুক্টোজ, সাদা চিনির একটি উপাদান (সুক্রোজ) ও উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ লিভারে বিপাক হয়। অতিরিক্ত চিনি বা শর্করা ট্রাইগ্লিসারাইড হিসেবে জমে ফ্যাটি লিভার করে।
● উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ ও অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রাসহ হৃদ্রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের সম্পর্ক রয়েছে।
● বাড়তি চিনি স্ট্রোকের ঝুঁকিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।
● চিনি মুখগহ্বর ও দাঁতের ক্ষয়ের একটি প্রাথমিক কারণ। কেননা, এটি মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার প্রিয় খাদ্য।
● অত্যধিক চিনি খাওয়া বিষণ্নতা ও উদ্বেগের ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত।