জগন্নাথপুর টাইমসবৃহস্পতিবার , ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টাওয়ার হ্যামলেটস “র বেথনালগ্রিনে ৩৩টি নতুন ঘর নির্মাণ সম্পন্ন- নির্বাহী মেয়র লুৎফুর

Jagannathpur Times Uk
এপ্রিল ১৭, ২০২৫ ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

এস কে এম আশরাফুল হুদা,
জগন্নাথপুর টাইমস ডেস্ক:

লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার বেথনাল গ্রিনের উইকফোর্ড স্ট্রিট ও ব্যানক্রফ্ট সাইটে সম্প্রতি ৩৩টি নতুন আবাসন ইউনিট ও অফিস স্থানের নির্মাণ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য আধুনিক ও সাশ্রয়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সম্প্রতি অফিসারদের সাথে নবনির্মিত আবাসন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ও কয়েকটি ফ্ল্যাট ঘুরে দেখেন – টাওয়ার হ্যামলেটস নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান।

এসময় তিনি নতুন বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবর নেন। তিনি প্রকল্পের সাথে নানা পর্যায়ে জড়িত কর্মকর্তা ও ডেভেলপারদের ধন্যবাদ জানান।

 নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, হাউজিং সমস্যা মোকাবেলায় আমার প্রশাসন দিনরাত পরিশ্রম করছে।  উইকফোর্ড স্ট্রিট হাউজিং প্রকল্প হচ্ছে শতভাগ কাউন্সিল হোমস্। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩টি ঘর, যার অর্ধেকই হচ্ছে ৩ ও ৪ বেডরুম বিশিষ্ট ফ্যামিলি সাইজ ফ্ল্যাট। আমি গ্রাউন্ড ফ্লোরের দুটি বাসা ঘুরে দেখেছি, যার একেকটি হচ্ছে ৪ বেডরুমের এবং হুইল চেয়ার এক্সেসেবল। যাদের সিরিয়াস মেডিক্যাল নিডস অর্থাৎ গুরুতর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তেমন বাসিন্দাদের উপযোগী হাউজিংয়ের ব্যবস্থা করতে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি, তাদের জন্যই এ ধরনের এক্সেসেবল হাউজিং আমরা নির্মাণ করছি।

তিনি বারার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হাউজিং সমস্যা মোকাবেলায় তিনি ও তাঁর প্রশাসন দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এটা তাঁর প্রধানতম প্রতিশ্রম্নতি ও অগ্রাধিকার, যদিও এই সমস্যার কোন ম্যাজিক সমাধান নেই। আমি চাই, আপনারা সবাই এটা অনুধাবন করতে পারেন যে ঘর নির্মাণ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের ওয়াদা ছিল কাউন্সিল হোমস, ডেভেলপার ও হাউজিং এসোসিয়েশন গুলোর মাধ্যমে ৪ হাজার বা তার বেশি সংখ্যক ঘর সরবরাহ করা। এই লক্ষ্য অর্জনে সময় কিছুটা বেশি লাগলেও আমি আপনাদের এটা নিশ্চিত করতে বলতে চাই যে, আমাদের পাইপলাইনে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বাড়ি—ঘর। এরইমধ্যে একটা বড় সংখ্যক ঘরের ব্যবস্থা করা গেছে এবং প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঘরের সরবরাহ আমরা নিশ্চিত করতে সক্ষম হচ্ছি। আগামিতেও বড় সংখ্যক ঘর সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তিনি বাড়িঘর সংক্রান্ত বড় ধরনের একটি প্রকল্প কেবিনেটের আনার কথাও তিনি জানান।

এই পরিদর্শনের সময় নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের সাথে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর আহমেদ উল কাবির, কাউন্সিলের রিজেনারেশন এন্ড হাউজিং সাপ্লাই বিষয়ক ডিরেক্টর সিদ্দিকা ইসলাম, প্রিন্সিপাল প্রজেক্ট ম্যানেজার এনামুল গনি এবং হাউজিং সাপ্লাই ম্যানেজার জেমস ওয়েলস সহ কাউন্সিল ও ডেভেলপার কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

পরিদর্শনকালে সুরমান আলী নামের একজন বাসিন্দা নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানকে বলেন, “প্রায় ১৬ বছর অপেক্ষার পর তিনি এই চার বেডরুমের ঘর পেয়েছেন। তার ৬ সন্তান সহ ৮ সদস্যের পরিবারের উপযোগী ঘর পেয়ে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উইকফোর্ড স্ট্রিট গ্যারেজ সাইটটি ভেঙে সেখানে ১৮টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়, যার নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের ১লা আগস্ট সম্পন্ন হয় এবং বর্তমানে সেখানে বাসিন্দারা বসবাস করছেন। অন্যদিকে, প্রাক্তন ব্যানক্রফ্ট টিএমসি অফিস সাইটটি পুনর্নির্মাণ করে ১৫টি নতুন বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের অনুমোদিত বাজেট ছিল ১৭ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ড, তবে প্রকল্পটি প্রায় ৭০০ হাজার পাউন্ড কম খরচে সম্পন্ন হয়েছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

উইকফোর্ড স্ট্রিটের ৩০টি নতুন বাড়ি পছন্দ—ভিত্তিক ভাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ বাসিন্দারা নতুন বাড়িগুলোতে বসবাস শুরু করতে পারবেন।

প্রকল্পের এই অংশটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন পছন্দ ভিত্তিক ভাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়িগুলি বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। ইউনিটগুলি বরাদ্দ হয়ে গেলে, নতুন বাসিন্দারা চলতি এপ্রিল মাসের শেষের দিকে স্থানান্তরিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সমস্ত নতুন বাড়ি, সেইসাথে অফিস এবং কমিউনিটি স্পেসগুলি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত হবে।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।