জুবেল আহমদ সেকেল, ওসমানীনগর (সিলেট)প্রতিনিধি:
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ওসমানীনগর উপজেলা ফুটবল দল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার তাজপুর বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওসমানীনগর উপজেলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জুবেল খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ২১ অক্টোবর জৈন্তাপুর উপজেলার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে তারা জানতে পারেন যে, জৈন্তাপুর দলের হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের খেলোয়াড় নাজিম শিকদার মাঠে নামছেন। অথচ জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাইলজের ১২ নম্বর কলামে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও প্রিমিয়ার লীগে অংশগ্রহণকারী বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়রা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না
জুবেল খান বলেন, “নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা নিজেদের দলে থাকা প্রিমিয়ার লীগ ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের খেলতে দেইনি। কিন্তু প্রতিপক্ষ দল নিয়ম ভেঙে খেলোয়াড় নামানোয় আমরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিই।
তিনি আরও জানান, অভিযোগ জমা দিতে গেলে মাঠে বা অফিসে কোনো সিনিয়র কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। পরে ক্রীড়া অফিসার নুর হোসেন বিষয়টি দেখেন এবং বলেন যে বাইলজটি পরে সংশোধন করা হয়েছে। তবে ওসমানীনগর দল এই যুক্তি মেনে নিতে রাজি হয়নি।
অধিনায়ক জুবেল প্রশ্ন তোলেন, এই টুর্নামেন্টের মূল উদ্দেশ্য তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি করা। তাহলে প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হলো কেন? যদি বাইলজ সংশোধন করা হয়েই থাকে, তবে ১৪ উপজেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে অনুমোদন দেওয়া হয়নি কেন?
এদিকে, স্টেডিয়াম থেকে ফিরে বুধবার রাতে ওসমানীনগর উপজেলা ফুটবল দলের কর্মকর্তারা সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার রাতে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা ফুটবল দলের কোচ আলী আমজদ নুনু বলেন, আমাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার করা হয়নি। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল অভিযোগের সত্যতা মিললে আমাদের পূর্ণ ৩ পয়েন্ট দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আমরা আশাবাদী, ডিসি মহোদয় আমাদের প্রতি অবিচার করবেন না।
টিম ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন বলেন, এ ঘটনায় উপজেলার ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমি সবাইকে বলেছি, বিষয়টি ডিসি মহোদয় দেখছেন—তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা তা মেনে নেব।
