মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
ব্রিটেনে আসছে নতুন আইন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের তথা স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ব্রিটেনে আসতে পারবে না এবং কোর্স শেষ না করে ভিসা সুইচ করা যাবে না ।
মঙ্গলবার (২৩ মে ২০২৩) ব্রিটেনের হোম অফিসের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। গত দুই বছর ব্রিটেনে আসা বেশিরভাগ ফরেন শিক্ষার্থী তাদের পরিবারের সদস্যদের বা ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে প্রবেশ করার কারণেই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোম অফিসের কর্মকর্তারা।
হোম অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী জানুয়ারী থেকে পিএইচডি কোর্স ছাড়া বাকি কোনো কোর্সে স্বামী বা স্ত্রী আনতে পারবে না ব্রিটেনে।
তবে একই প্রস্তাবনায় আরেকটি বিষয় বিবেচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে খুব নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো কোর্সে, ভালো রেজাল্ট করা ছাত্ররা তাদের পরিবার আনার সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি সরকারের মাইগ্রেশন কমিটি থেকে সরকারের কাছে শিক্ষার্থী ভিসা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আর এই প্রস্তাব সরকার গুরুত্বসহকারে দেখছে বলেও হোম অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এবারের পরিসংখ্যানে নেট মাইগ্রেশন বেড়ে ১০ লাখে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী রিশি সুনাক গত বছর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করার সময় নেট মাইগ্রেশন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নেট মাইগ্রেশন কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য তিনি এই পরিসংখ্যান কমাতে বিভিন্ন পলিসি প্রনয়ণ করছেন।
দ্য সানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রিশি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দুই মাস পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া বছরে এই অভিবাসীদের বেশির ভাগকেই উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন।
জানা গেছে, বর্তমানে ফরেন স্টুডেন্টদের সাথে ডিপেন্ডেন্ট ভিসায় যুক্তরাজ্যে আসা মানুষের সংখ্যা গত বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮ জনে পৌঁছেছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় নয় গুণ বেশি।
হোম অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রাজুয়েট এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট করা ফরেন স্টুডেন্টরা তাদের ফ্যামিলি সদস্যদের আনতে না পারলেও পিএইচডি করা ফরেন ছাত্ররা ডিপেন্ডেন্ট ভিসা সুবিধা পাবে।