জগন্নাথপুর টাইমসশুক্রবার , ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জগন্নাথপুরে ঝুঁকিপূর্ন ডাক বাংলো সেতু, যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা

Jagannathpur Times BD
আগস্ট ২৫, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রিয়াজ রহমান :

জগন্নাথপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন নলজুর নদীর ওপর  ডাক বাংলো সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। যানবাহন এবং পথচারীসহ সেতুটি যে কোন সময় ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

গত বছরের  ১৭ এপ্রিল সেতুটি ধেবে যাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন সকল প্রকার যানবাহন ও পায়ে হেঁটে  চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হয়।

গত ২৩ মার্চ জগন্নাথপুর পৌর কর্তৃপক্ষ স্টীলের পাটাতন দিয়ে সেতুটি মেরামত করে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

জগন্নাথপুর সদর বাজারে ভারী মালামাল পারাপারে বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় প্রায় সময় মালবাহী গাড়ি ঝুঁকিপূর্ন সেতু দিয়ে পারাপার হতে দেখা যায়।

২২ আগস্ট সুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের জগন্নাথপুর অংশে বেইলী সেতু ভেঙ্গে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক কাঁটা নদীতে পড়ে ২জন নিহত হওয়ার পর ডাকবাংলো সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক  বিরাজ করছে।

যাত্রীরা জানান, সেতুটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় যাত্রী নিয়ে যে কোন সময় সেতুটি দিয়ে পারাপারের সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা আওয়ামীন লীগ নেতা আফু মিয়া জানান, ডাকবাংলো সেতুটি অবস্থা অত্যান্ত নাজুক।  বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করছি। তিনি জরুরী ভিত্তিতে নতুন সেতু নির্মানের দাবী জানান।

জগন্নাথপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃঞ্চ চন্দ্র চন্দ জানান, ঝুঁকিপূর্ন সেতুর উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে পারাপার ব্যতিত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি। তিনি খাদ্য গুদাম সংলগ্ন সেতুটি দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের  নিকট জোর দাবী জানান।

জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন জানান, সেতুটি জনস্বার্থে মেরামত করে দেয়া হয়েছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, ঝুঁকিপূর্ন এ সেতু দিয়ে গাড়ির ওজন সহ ৩ টনের অধিক ভারী যানবাহন চলতে পারবেনা। রাতে আমাদের অগোচরে ভারী মালামাল বহনকারী গাড়ি পারাপার হয় জানতে পেরেছি। রাতের বেলায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে পাহারা বসানো হবে।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।