মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের দাবীতে হিউম্যানরাইট এ্যালায়েন্স পূর্বলন্ডনে মানববন্ধন করেছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট ২০২৩) বিকেলে পূর্বলন্ডনের আলতাব আলী পার্কে হিউম্যানরাইট এ্যলায়েন্স আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন বাংলাদেশের চিহ্নিত মানবতাবিরোধী অপরাধী ও তাদের দোষররা বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এরাই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। আজও তারা মানবতা বিরোধী অপকর্মের সাথে জড়িত।
বক্তারা ৭১এর মানবতা বিরোধী অপরাধী চৌধুরী মইনুদ্দিন এবং ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামী তারেক রহমানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সবাবেশে সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কর্মি আব্দূল আহাদ চৌধুরী। জামাল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, স্যাকুলার মুভমেন্টের প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলার পুষ্পিতা গুপ্তা, মানবাধিকার আইনজীবি ব্যারিস্টার মঞ্জু, ব্যারিষ্টার এনামুল হক, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির সেক্রেটারী স্মৃতি আজাদ, সাংবাদিক উর্মি মাজহার, সাংবাদিক জোবায়ের আহমদ, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট কমিশন যুক্তরাজ্য শাখার সেক্রেটারী তারাউল ইসলাম, গৌররবের ৭১ এর সেক্রেটারী মিন্টু দে, নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি সেলিম চৌধুরী-যুবনেতা শফিক আহমদ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আঙ্গুর আলী, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জালাল উদ্দিন, মারুফ চৌধুরী, নইমুদ্দিন রিয়াজ, সৈয়দ ছুরুক আলী ,ফখরুল ইসলাম মধূ, সেলিম খান, হোসনেয়ারা মতিন, নাজমা হোসাইন, হামিদা ইদ্রিস, শাহিনা আক্তার, খালেদা কোরেশী প্রমুখ।
এ মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন – ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের স্থপতি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে দেশের সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশে একের পর এক মানবতা বিরোধী কর্মকন্ডে লিপ্ত হন জিয়াউর রহমান।
একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে দেশের সংবিধান লংঘন করে ভোটার বিহিন হাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নিজকে দেশের প্রেসিডেণ্ট হিসেবে ঘোষনা করেন। তার সময়ে দেশে ১৯বার ক্যু হয়, কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সামরিক আইনে বিচার করে দেশের হাজার খানেক সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেন জিয়াউর রহমান। আজ পর্জন্ত তাদের কারো লাশ পাওয়া যায়নি। তাদের সন্তানেরা এর বিচার চায়।