মুজিব মাসুদ, টোকিও (জাপান) থেকে :
জাপানের সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু করায় দুই দেশের বানিজ্য ও সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপান। অন্যদিকে বিমানের সেবার মান বৃদ্ধি, বিমানবন্দরে হয়রানি, লাগেজ নষ্ট না হওয়ার বিষয়ে দাবি জানিয়েছেন জাপানে অবস্থানরত প্রবাসি বাংলাদেশীরা।
রোববার (০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ) সন্ধ্যায় টোকিওতে একটি রেস্টুরেন্টে এক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপান এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, যাত্রী হয়রানির অভিযোগ পেলে কাউকেই ক্ষমা করা হবে না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপানের নেতারা সরাসরি ফ্লাইট চালু করায় বিমামকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ১৭ বছরে আগের মত যেন ফ্লাইট আবারও বন্ধ না হয়। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরাসরি ফ্লাইট না থাকার কারণে জাপানী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে যেতে আগ্রহী হন না। বাংলাদেশিদেরও জাপান থেকে দেশে যেতে দীর্ঘ সময় লাগত। বাংলাদেশি প্রবাসীদের লাশ বিনা খরচে দেশে নিতেও আহ্বান জানান তারা।
জাপান চেম্বারের সভাপতি বাদল খন্দকার বলেন, আমরা সব সময় চাই জাপানীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক। কিন্তু সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় বাংলাদেশে একবার গেলে দ্বীতিয় বার যেতে অনেক বিনিয়োগকারী আগ্রহী হতেন না। মালামাল পরিবহণেও খরচ বেশি হয়। আমরা এখন চাইব এই ফ্লাইট আর যেন বন্ধ না হয়। সেবার মান বাড়াতে হবে।
বিমান সেবার মান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, দীর্ঘ দিন পরে ফ্লাইট শুরু করতে পেরেছি। তাই জাপান রুট সফল করতে সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আর সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেবে না।
বিমান এমডি আরও বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের প্রতিনিধি, প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সহয়তা করুন, বিমানে ভ্রমণ করুন।
বেসামরিক বিমান পরিবহনণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ বছরে জাপানের টোকিওতে ফ্লাইট চালু করলে বিমান। এতে যাত্রী পরিবহণের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণও সহজ হবে। ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসবেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন। বাংলাদেশ ওপার সম্ভাবনার দেশ।
বাংলাদেশে জাপানী পর্যটকদের আসার জন্য প্রবাসীদের ভুমিকা রাখতে আহ্বান জানান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল, বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপানের সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হক মো. সানাউল, ব্যবসায়ী নেতা কামরুল হাসান লিপু, মো. রেজাউল করিম, ইসলাম মোহাম্মদ রফিকুল, বিপ্লব মল্লিক, মুকিত এম এফ মাহমুদ, মোহাম্মদ আহসানুল কবির ভুইয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করেছে বিমান। সপ্তাহে তিন দিন এই ফ্লাইট চলাচল করবে। ঢাকা থেকে শুক্র-সোম ও বুধবার ফ্লাইট আসবে জাপানে। শনি মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ফিরতি ফ্লাইট ঢাকা যাবে। বিমানের অত্যাধুনিক বোয়িং ড্রিম লাইনের দিয়ে এই ফ্লাইট চালাবে বিমান।