মুহাম্মদ সালেহ আহমদ :
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে ক্যাম্পেইন ফর রিকগনিশন ইন ইউকে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ অক্টোবর স্হানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটি একটিভিস্ট মতিউর রহমান মতিন সভাপতিত্বে এবং সৈয়দ হাসান আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান এর যৌথ সঞ্চালনায় প্রথমে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দরা।
বক্তব্য রাখেন ভার্চুয়ালী বাংলাদেশ থেকে আব্দুর রাজ্জাক।
বক্তব্য রাখেন সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন, রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটি একটিভিস্ট মুজিবুল হক মনি, সাবেক কাউন্সিলার শহীদ আলী, মুহিবুর রহমান, সাবুল সামসুজ্জামান, ফ্রেন্ডস অব লেবার পার্টির নেতা সৈয়দ আবুল বাশার, ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন, রাজনীতিবিদ আব্দুল হান্নান, সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার, হাওয়া টিভি’র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান শানুর, দেলোয়ার আহমদ, মোহাম্মদ শওকত, জাহেদ খুসনু, নোমান উদ্দিন ও খালেদ আহমেদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ক্যাম্পেইন ফর রিকগনিশন ইন ইউকে’র নেতৃবৃন্দরা দাবী উত্থাপন করেছেন যাঁরা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রথিতযশা মানুষ বিভিন্ন ভাবে অবদান রেখেছেন তাদের নামে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা, সড়ক, চত্বরের নাম করণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আলোচিত হচ্ছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সিলেট অঞ্চলের বিশিষ্টজনের নামে স্থাপনা করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। যাঁরা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধকরে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম, বাঙালির স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে গৌরবময় অধ্যায় রচনা করছেন। তাঁরা ইতিহাসের স্বাক্ষী, অমলিন চিরঞ্জীব হয়ে আছে,গৌরবময় ভূমিকা পালন করছেন।তাদের মতো অদম্য সাহসী তেজোদৃপ্ত লড়াই সংগ্রামে নিজের জীবন, যৌবন উৎসর্গ করে গেছেন। জাতি রাষ্ট্র গঠনের কারিগরের ভূমিকা রেখে গেছেন।নিজের জীবনের মায়া, ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জন করেছে স্বাধীন বাংলাদেশের। এনে দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ।আগামী প্রজন্ম যেন জানতে পারে আমাদের পূর্ব পুরুষরা লড়াই সংগ্রাম করে আমাদেরকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এনে দিয়েছে। তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য আমাদের এই প্রয়াস।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কাছে লিখিত ভাবে একটি দাবীনামা তুলে দিয়েছেন এবং তাদের জীবনীসহ প্রাথমিকভাবে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পীর হাবিবুর রহমান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক দেওয়ান ফরিদ গাজী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল হামিদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা আখতার আহমদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আব্দুন নুর মাষ্টার, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ম আ মুক্তাদীর, সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান আ ফ ম কামাল, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, কবি দিলওয়ার, অধ্যক্ষ কে কে পাল চৌধুরী, অধ্যক্ষ হোসনে আরা আহমদ।
পর্যায়েক্রমে আরও অনেকের নাম আসবে। উল্লেখিত ব্যক্তিরা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আছেন।জাতি রাষ্ট্র গঠনে অসামান্য অবধান রেখে গেছেন।জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণে সারা জীবন তাদের কর্ম স্পৃহা সৃষ্টি করে জাগিয়ে তোলার মন্ত্র উচ্চারণ করেছেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাদের নামে স্হাপনা , চত্বর, সড়ক পর্যায়েক্রমে করার আশ্বাস দিয়েছেন। আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।তিনি ও একজন প্রবাসী।
তিনি সবসময়ই প্রবাসীদের দাবি দাওয়ার প্রতি সোচ্চার এবং আন্তরিক। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব কাজগুলো করার চেষ্টা করবেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে, উন্নত দেশের কাতারে দেশ দাড়িয়ে আছে। দে-শ কে এগিয়ে নিতে হলে বর্তমান সরকারকে ধরে রাখতে হবে। উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা জরুরী। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ, ঢাকা টু সিলেট ছয় লেন কাজকে এগিয়ে নিতে হলে শেখ হাসিনার সরকার কে সহযোগিতা করতে হবে।বিশ্বের দরবারে আজ বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাহারও কাছে মাথানত করার লোক না। কাহারও চোখ রাঙানীতে ভয় পান না অদম্য সাহসী তেজোদৃপ্ত একজন মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ রেহেনার প্রতি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি নিজেকে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসাবে অভিহিত করেছেন। যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সিলেটের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চান।আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা ও সাহায্য করার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।বিএনপি জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে না পারে সেই দিকে সবার খেয়াল রাখার জন্য সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ।গ্রীণ সিটি, ক্লিন সিটি, নান্দনিক সিটি গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। পরিশেষে মধ্যহ্ন ভোজনের আয়োজন ছিল।