আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:
মালয়েশিয়ায় একটি বিলাসবহুল কনডোতে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ১৩৬ অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান মুন্সি আবদুল্লাহর একটি বিলাসবহুল কনডো থেকে অভিবাসীদের আটক করা হয়।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, বৃহস্পতিবর রাত ১ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত নজরদারি এবং জনসাধারণের অভিযোগের পর চালানো হয় অভিযান।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের ২০ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১৩০ জন পুরুষ এবং ছয়জন মহিলা রয়েছে। যারা অতিরিক্ত অবস্থান এবং ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকা সহ বিভিন্ন অপরাধের কারনে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে এ অভিযানে কতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
ইমিগ্রেশনের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, বিদেশীরা তিনটি বা চার বেডরুমের ইউনিট সহ দুটি কনডমিনিয়াম ব্লক ভাড়া নিয়েছিল, প্রতিটিতে কমপক্ষে আটজন ব্যক্তি বাস করে।
পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, “কিছু লোককে পেন্টহাউসে থাকতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ বিদেশী প্রতি মাসে ৫০০ রিঙ্গিত থেকে ৮০০ রিঙ্গিতের মধ্যে রুম ভাড়া করছিলেন।
রুসলিন বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগ বাড়ির মালিক এবং কনডোমিনিয়াম ম্যানেজমেন্টকে তলব করবে। ইউনিটগুলি নিয়োগকর্তারা নাকি বিদেশীরা নিজেরাই ভাড়া নিয়েছেন।
রুসলিন বলেন, একই কন্ডোমিনিয়ামে এর আগেও অভিযান চালানো হয়েছিল এবং তখন বেশ কয়েকজন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছিল।
রুসলিন বলেন, বুহস্পতিবার রাতের অভিযানে পুত্রজায়া, মেলাকা, নেগেরি সেম্বিলান, কুয়ালালামপুর এবং কেএলআইএ থেকে ৩৩৮ জন অভিবাসন কর্মীর স্বমন্বয়ে মোট ৩,০১৬ জন বিদেশীদের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে যাদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই, ১৩৬ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশনস ১৯৬৩ এর অধীনে আরও অধিকতর তদন্তে সিমুনিয়াহ, সেলাঙ্গরের অভিবাসন ডিপোতে নিয়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে ইমিগ্রেশন বিভাগ জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৭,১৬৯টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ৪৮,৬৫৬ জন অবৈধ অভিবাসী এবং ২৪৫ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ।