মুহাম্মদ সালেহ আহমদ :
বাংলাদেশ সেন্টারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হয়েছে রেড এলায়েন্স। বাংলাদেশ সেন্টার কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির মোট ৩৫টি পদের মধ্যে ১৮ টিতে জিতেছে রেড এলায়েন্সের প্রার্থীরা। আর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিন এলায়েন্সের প্রার্থীরা জিতেছে ১৭টি পদে। রেড এলায়েন্সের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টারের বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। আর গ্রিন এলায়েন্সের নেতৃত্বে ছিলেন বিগত কমিটির সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান।
রোববার (২৬ নভেম্বর ২০২৩) পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেন্যুতে বাংলাদেশ সেন্টারের এজিএম ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এজিএমে সভাপতিত্ব করেন সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান মুহিব। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার হযরত আলী খান ও মিনস্টার কনসুলেট দেওয়ান মাহমুদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
কুরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ নাজিম উদ্দিন। সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও ট্রেজারারের প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী চীফ ট্রেজারার মামুন রশীদ।
সাধারণ সম্পাদক ও ট্রেজারারের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনায় অংশনেন সেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা নবাব উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান কাজী ওবিই, শহিদুর রহমান, আব্দুল আহাদ। সভায় সর্বসম্মতিতে সাধারণ সম্পাদক ও ট্রেজারারের প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়।
এটি ছিলো সেন্টারের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে কমিউনিটিতে বেশ উৎসাহ ও কৌতুহল বিরাজ করে। অনেকেই এই নির্বাচনের আমেজ নিতে ছুটে যান ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেন্যুতে। সেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত ছিলো বহু মানুষের সমাগম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আজিজ চৌধুরী।
অপর দুই কমিশনার ছিলেন কাউন্সিলর শেরওয়ান চৌধুরী ও কাউন্সিলর আব্দাল উল্লাহ। নির্বাচন শুরুর পূর্বে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারম্যান সাইদা মুনা তাসনীম।
বাংলাদেশ সেন্টারের ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে লাইফ মেম্বারদের থেকে ১৭ জন এবং পার্মানেন্ট মেম্বারদের থেকে ১৮ জন নির্বাচিত হন।
রেড প্যানেল লাইফ মেম্বারদের ১৭টিতেই বিজয়ী হয়। পাশাপাশি তারা পার্মানেন্ট মেম্বারদের ১টি পদে বিজয়ী হয়।
অপরদিকে গ্রিন প্যানেল পার্মান্টে মেম্বারদের ১৭টি পদে বিজয়ী হয়। লাইফ মেম্বারদের কোনো পদে তারা বিজয়ী হতে পারেনি।
লাইফ অ্যান্ড জেনারেল মেম্বারের ১৭টি পদে বিজয়ী হয়েছেন— রেড এলায়েন্সের গুলনাহার খান, মামুন রশীদ, দেলোয়ার হোসেন, মাহবুব আহমেদ, আলী আহমেদ বেবুল, শাহেদ আহমেদ, এনায়েত খান, জাহিদুর রহমান, শিব্বির আহমেদ, আমিনুল হক জিলু, আব্দুল হান্নান, আনোয়ার আলী,মোঃ ময়নুল হক, মোঃ সাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সুহেল, ফখরুল আম্বিয়া ও শামীম আহমেদ।
অন্যদিকে পার্মানেন্ট মেম্বার পদে গ্রিন এলায়েন্সের বিজয়ীরা হলেন— মোহাম্মদ মোস্তফা আলী, কবির উদ্দিন, আলহাজ মনজ্জির আলী, মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান, একেএম আব্দুল্লাহ, জবরুল ইসলাম, নাসিম আহমেদ, আব্দুল হাফিজ, এ কে শহিদুর রহমান, মোহাম্মদ ফয়জুল হক, হাবিবুর রহমান, দুলাল উদ্দিন রায়হান, জাহাঙ্গির খান, মোহাম্মদ ইসবাহ উদ্দিন, আহসানুল হক, আব্দুল কালাম আজাদ ছুটন ও মোহাম্মদ শামীম আহমদ এবং রেড এলায়েন্সের তফজ্জুল মিয়া।
নির্বাচন পরে নবনির্বাচিত সদস্যদের তাৎক্ষণিক এক সভা ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়।
মুহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্বে এবং জনাব দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেলোয়ার হোসেনের নাম প্রস্তাব করেন বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আহমদ রাজু।
সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দেলোয়ার হোসেনকে ম্যানেজমেন্ট কমিটির নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।