শেখ জাফর আহমদ :
সম্প্রতি ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী গ্রহণ করেছেন, বৃটেনের সুনামধন্য শহর ব্রাডফোর্ডের কমিউনিটি নেতা, বৃটিশ বাংলাদেশী শওকত আহমদ এমবিই। তারঁ কঠোর পরিশ্রম, মানব সেবা, সকল কমিউনিটির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দেওয়ার জন্যই এই প্রাপ্তি।
শওকত আহমেদ এমবিই একজন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী, উদ্যোক্তা এবং সকল কমিউনিটির – কমিউনিটি নেতা।
মিস্টার ম্যানিংহাম’ নামে পরিচিত শওকত আহমদ তারঁ জীবন দ্বশায় স্বেচ্ছাসেবী সেক্টর সংগঠন,
বঞ্চিত সম্প্রদায়ের আবাসন অবস্থার উন্নতি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সর্বক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের সম্পৃক্ততা এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে তার জীবনের বেশীর ভাগ সময় ব্যয় করেছেন।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশী যুব সংগঠনের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন, একটি অগ্রগামী সংগঠন যা অভ্যন্তরীণ-শহর ব্র্যাডফোর্ডের প্রাথমিক দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের মধ্যে একত্বতা, নিজেদের অধিকার আদায় করার জন্য সহায়ক ছিল। ম্যানিংহাম হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অ্যাকশন ফর বিজনেস লিমিটেড নামে একটি কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং চেয়ারম্যান ছিলেন, যেটি কার্লাইল বিজনেস সেন্টারের সত্তাধীকারীরা পরিচালনা করেন। কেন্দ্রটি স্টার্টার ব্যবসার বিকাশের জন্য একটি উষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ, এবং ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে কর্মক্ষেত্র প্রদান করে, যার মধ্যে আনুমানিক ৩০% ভাড়াটেদের বয়স ৩০ বছরের কম, যা ছিল শহরের উদ্যোক্তাতায় এক বিরাট মাইফলক। মিষ্টার আহমেদ ব্র্যাডফোর্ড সিটি কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলর এবং স্কুল বিল্ডিং কমিউনিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
৮০ বছরের ভিতরে- শহরে (ম্যানিংহাম) নতুন উচ্চ বিদ্যালয় নির্মানে প্রথম উদ্যোক্তা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী যিনি সঙ্গীত, গান, কবিতার মাধ্যমে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রতির বন্ধন গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচার প্রচারনা সহ বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
উল্লেখ্য মানব সেবা, কমিউনিটিতে অবদান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি সহ তাঁর জীবনের সকল ক্ষেত্রে মানবিক চিন্তা – চেতনার জন্য ২০০৮ সালে বৃটেনের রাজ পরিবার থেকে এমবিই উপাধিতে ভূষিত হন।
মিষ্টার শওকত আহমদের দেশের বাড়ি, সিলেট জেলার, দক্ষিন সুরমা উপজেলার, জালাল পুর ইউনিয়নে। নাড়ির টানে সময় সুযোগে চলে যান নিজ দেশে, দেশের প্রতি তারঁ মমতা বোধ ও গভীর দেশ প্রেমের জন্য, বৃটেনে বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংগঠনের ও একজন সুনামধন্য সংগঠক।