মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান,
অনলাইন ডেস্ক :
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি এখনো কারাগারে।
নারী অধিকার ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ইরানি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি। এবার ইরানের একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানিয়ে কারাগারে বসেই পুনরায় অনশন শুরু করছেন তিনি। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) নরওয়ের অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে তার পরিবার। খবর আলজাজিরার।
রোববার নার্গিস মোহাম্মাদির হাতে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে কারাগারে থাকায় তিনি এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। এ জন্য তার পক্ষে তার পরিবারের সদস্যরাই এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন। এরই মধ্যে নার্গিসের স্বামী তাঘি রহমানি, তাদের দুই সন্তান আলী ও কিয়ানা রহমানি এবং তার ভাই হামিদ রেজা মোহাম্মদি অসলোতে গেছেন।
শনিবার অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে হামিদ রেজা বলেন, তিনি (নার্গিস) আজ আমাদের সাথে নেই। তিনি কারাগারে আছেন। ইরানের বাহাই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি অনশন শুরু করবেন। তবে তার উপস্থিতি আমরা অনুভব করছি।
এর আগে গত নভেম্বরে নারী অধিকারের জন্য জেলে বসে অনশন শুরু করেছিলেন ৫১ বছর বয়সী নার্গিস। সেবার এক বিবৃতিতে নোবেলজেয়ী নার্গিসের পরিবার জানায়, নার্গিস বর্তমানে ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দি আছেন। সেখানে অসুস্থ নারী বন্দিদের চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা এবং নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরার নীতির প্রতিবাদে অনশন শুরু করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা ও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল পরিবার।
গত ৬ অক্টোবর ২০২৩ সালের শান্তিতে নোবেলজয়ী হিসেবে মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদির নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। কারাগারে থেকেই বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের এই লড়াকু সৈনিক নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নার্গিস মোহাম্মদি একজন নারী, মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীনতা যোদ্ধা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য সাহসী লড়াইয়ের ফলে তাকে ব্যক্তিগত অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ইরানের শাসকরা তাকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করেছে, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করেছে, সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫৪টি বেত্রাঘাত করেছে।
নার্গিস মোহাম্মাদি। ছবি : সংগৃহীত