সারোয়ার হোসেন জাবেদ, সিলেট :
পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষার আন্দোলনের সহযোদ্ধা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার কোষাধ্যক্ষ এবং পরিবেশ ও সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেটের অন্যতম ট্রাস্টি সাংবাদিক ছামির মাহমুদের সপরিবারে যুক্তরাজ্য যাত্রা উপলক্ষে দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় ‘পরিবেশ ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক আড্ডা।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এই আড্ডায় সভাপতিত্ব করেন বাপা সিলেট শাখার সভাপতি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার জামিল আহমেদ চৌধুরী। আডডার সূচনা করেন বাপা সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি আব্দুল করিম কিম। প্রায় দুই ঘন্টার এই আড্ডায় যুক্ত হয়ে ছামির মাহমুদের পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষার কর্মকাণ্ড নিয়ে এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক, বাপা সিলেট শাখার সহসভাপতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী।
নাগরিক মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেটের আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেটের ট্রাস্টি ফকির জাকির হোসেন সোহেল, বাপা সিলেট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাবিপ্রবির অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক ও গৌরাঙ্গ পাত্র। বাপা সিলেটের কার্যকরি কমিটির অন্যতম সদস্য ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ.ফ.ম জাকারিয়া ও অধ্যাপক সঞ্জয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি সিলেট শাখার সাবেক সভাপতি এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী, ব্যবসায়ী নেতা তাজুল আমিন সোহাগ, স্টেমাইজ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুব সুন্নাহ, ব্লগার শহিদুজ্জামান পাপলু, চৈতন্য প্রকাশনীর প্রকাশক রাজিব চৌধুরী, সাংবাদিক ইয়াহিয়া মারুফ ও মিঠু দাস জয়, স্থপতি মিনহাজ আহমেদ চৌধুরী ও বর্ডার গার্ড স্কুলের শিক্ষক নিরঞ্জন সরকার, পরিবেশকর্মী রাসেল আহমেদ, সংগঠক বাবলু আল মামুন প্রমুখ আড্ডায় অংশ নিয়ে সমসাময়িক নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন ।
বক্তারা বলেন, ছামির মাহমুদ নতুন প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর চিন্তা-চেতনায় মানুষের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। বাপা ও ট্রাস্টের যেকোনো প্রয়োজনে তাকে সবার আগে পাওয়া যেত। তিনি পরিবেশ ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবসময় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই আন্দোলন প্রবাসেও অব্যাহত থাকবে।
বক্তারা আরও বলেন, দেশ, দশ ও পরিবেশের প্রতি তাঁর টান সবসময় আমাদেরকে মিস করাতে বাধ্য করবে। দেশের ন্যায় প্রবাসেও তিনি সাংবাদিকতা ও পরিবেশের জন্য কাজ করবেন। নিজের দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। ছামির মাহমুদের মতো যারা চলে যাচ্ছেন, তারা নিজেকে ভালো রাখার পাশাপাশি দেশকে ভালো রাখেন। তারা সেখানে গেলেও দেশকে ভুলবেন না৷ এটা আমাদের বিশ্বাস। দেশের কল্যাণের জন্য তারা বিভিন্নভাবে কাজ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, কবি ও সাংবাদিকের পাশাপাশি ছামির মাহমুদ একজন বিশ্বাসী। এইরকম মানুষ চলে গেলে আমরা বৃহৎ শূন্যতা অনুভব করবো। খারাপ লাগলেও নিজের এবং পরিবারের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাকে সেখানে যেতে হচ্ছে। দোয়া করি সেখানে ভালো থাকেন।
আড্ডায় ছামির মাহমুদ বলেন, সময়ের প্রয়োজনে, সন্তানদের সুন্দর পরিবেশ ও সমৃদ্ধ জীবনযাপনের তাগিদে যুক্তরাজ্যে যেতে হচ্ছে। যেখানেই যাইনা কেনো আমার মনপ্রাণ সবসময়ই সিলেটে পড়ে রইবে। এই মা-মাটি ও জন্মভূমিকে আমি ভুলতে পারবোনা। পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলন সংগ্রামের প্রাণপ্রিয় সহকর্মীদের আমি কোনোদিনও ভুলতে পারবো না। যেখানেই, যতোদূরেই থাকি সবসময়ই আমি আপনাদেরকে মনে রাখবো। এ আয়োজন আমার আগামী জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেনো সুস্থ শরীরে জীবনযাপন করতে পারি।