মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশী মালিকানাধীন সুপরিচিত আইকন কলেজ উদযাপন করল গৌরবের ২০ বছর। এ সময় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত থেকে জাকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। প্রতি বছরের শেষের দিকে আইকন কলেজ অফ টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার্থীদের আনন্দ দিতে আয়োজন করে নানা উৎসবের। এবারও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। তবে আয়োজনের উদ্দেশ্য কেবল শিক্ষার্থী নয় এর তালিকায় ছিলেন কলেজের শিক্ষক, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং কলেজ ম্যানেজমেন্ট। কারণ হাটি হাটি পা পা করে ব্রিটিনের বুকে মূলধারায় সফলতার ২০ বছর উদযাপন করছে আইকন কলেজ অফ টেকনোলজি এন্ড ম্যানেজমেন্ট।
সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনের একটি হলে প্রায় চার শতাধিক অতিথির অংশগ্রহণে চলে এই উদযাপন। মিনারা উদ্দিনের উপস্থাপনায় আগত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান কলেজের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আজিজুর রহমান। অনুস্টানের শেষের দিকে স্টুডেন্টদের জন্য থাকে ক্রিসমাস উপলক্ষে পার্টি এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান।
কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. নুরুন নবীর সভাপতিত্তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্যার ডিয়ান হপকিন।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ হাসান এমবিই।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর জোয়াদাত, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আজিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আগত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ড. নুরুন নবী।
এ সময় ড. নুরুন নবী বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান দুই দশক ধরে সাফল্যের সাথে টিকে আছে, তবে এর যাত্রাপথ খুব সহজ ছিল না। আমরা কমিউনিটির মানুষকে আমাদের সাথে পেয়েছি। আমারাও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কমিউনিটিকে দেওয়ার এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা পায় আইকন কলেজ। শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করলেও বর্তমানে হোম স্টুডেন্ট এবং হেলথ এন্ড স্যোসাল কেয়ারের মত প্রয়োজনীয় কোর্স চালু রয়েছে। আর এতে উপকৃত হচ্ছেন শত শত মানুষ।
এ বছরের সেরা স্টুডেন্টদের ক্রেস্ট দেওয়ার সাথে সাথে কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা ক্রেস্টও প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট শাহগীর বখত ফারুক, কমিউনিটি নেতা কে. এম. আবু তাহের চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাস পাশা, এনটিভি ইউরোপের সিও সাবরিনা হুসাইন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ত্ব মুহিবুর রহমান মুহিব, সাপ্তাহিক জনমতের সহ সম্পাদক সাংবাদিক মুসলেহ আহমেদ প্রমুখ ।