মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
কমিউনিটির জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এস-এর ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর শনিবার ইস্ট লন্ডনের ওয়ালথামস্টোতে প্রেস্টিজ হাউজে চ্যানেল স্টুডিওতে উদযাপিত হয় চ্যানেল এস’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। পাশাপাশি মহান বিজয় দিবসও উদযাপন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় চ্যানেল এস’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। চ্যানেল এস স্কোয়ার এবং উৎসব মঞ্চ থেকে পুরো অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচার করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে চ্যানেল এস স্টুডিওতে এসে চ্যানেল এস’র ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস এবং চ্যানেল এসকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
লাইভ অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা চ্যানেল এস’র গত ১৯ বছরের কাজের মূল্যায়ন করেন। একই সঙ্গে তাঁরা কমিউনিটির প্রতি চ্যানেল এসের কাজ এবং দায়িত্ববোধের কথা তুলে ধরে বলেন, চ্যানেল এস কমিউনিটির স্পন্দন, এটা এখন প্রমাণিত।
অতিথিরা আশা করেন, চ্যানেল এস যুগ যুগ ধরে গৌরবের সাথে কমিউনিটির সেবা করে যাবে। জন্মভূমির সাথে সেতুবন্ধন তৈরীর পাশাপাশি সংবাদসহ বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় ইস্যুগুলোকে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপনের পাশাপাশি দেশের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে বিগত দিনের মতোই কমিউনিটিকে দিক নিদের্শনা দিয়ে যাবে চ্যানেল এস।
রাত ৯টায় উৎসব মঞ্চে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান। চ্যানেল এস’র হেড অব প্রোগ্রামস ফারহান মাসুদ খানের পরিচালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ্যালেল এস চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি। এরপর অতিথিরা শিশুদের নিয়ে চ্যানেল এস’র ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেট কাটেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারোনেস পলা উদ্দিন, পপলার এন্ড লাইম হাউসের এমপি আপসানা বেগম, লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, নিউহ্যামের নির্বাহী মেয়র রুখসানা ফাইজ, সিনিয়র ব্রিটিশ কুটনীতিক আনোয়ার চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শতবর্ষী কবি ও চ্যারিটি ব্যক্তিত্ব দবির চাচাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চ্যানলে এস’র পক্ষ থেকে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমকে একটি বিশেষ ফ্রেম উপহার দেওয়া হয়। চ্যানেল এসকে সাথে নিয়ে কমিউনিটি সেবা এবং বিলেতে বাংলাদেশের সফল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মব্যস্ত জীবনের স্মৃতিবিজড়িত মুহুর্তগুলো ফ্রেমে বন্দি করে তা হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমের হাতে তুলে দেন অতিথিরা।
এছাড়া চ্যানেল এস’র সাবেক মিডল্যান্ডস ব্যুরো প্রধান, মরহুম এইচএম আশরাফ আহমেদকেও স্মরণ করা হয় উৎসব মঞ্চে। চ্যালে এস একং কমিউনিটির বিভিন্ন কাজে মরহুম আশরাশ আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ছবি ফ্রেমে বাঁধাই করে তা তুলে দেওয়া হয় মরহুমের পরিবারের সদস্যদেও হাতে। মরহুম এইচএম আশরাফ আহমেদে চার ছেলেসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তা গ্রহণ করেন। মরহুম এইচএম আশরাফ আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। এই মসজিদেও চ্যানেল এস’র পক্ষ থেকে দুই হাজার পাউন্ড দানের ঘোষণা দেন চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি