জগন্নাথপুর টাইমসবুধবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন – বৃটেন প্রবাসীদের ভাবনা

Jagannathpur Times BD
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩ ১:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন – বৃটেন প্রবাসীদের ভাবনা

শেখ জাফর আহমদ :

নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহন এবং প্রাণ। গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। যে কোন দেশের সংবিধান অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময় সীমার পর, নির্বাচন কমিশনের আওতায় নির্বাচন হতেই হবে। সাধারণত পৃথিবীর উন্নত সকল দেশেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল নির্বাচন সংগঠিত হয়ে থাকে, কিন্ত এশিয়া উপ মহাদেশের কিছু কিছু দেশে, রাজনৈতিক সংঘাত, প্রতিহিংসার , রাজনীতি, ক্ষমতার দাপট সব কিছু মিলে নির্বাচন কমিশনের আওতায় নির্বাচন মেনে নিতে নারাজ অনেক রাজনৈতিক দল।

এশিয়া উপ মহাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক সাফল্যের দেশ, বাংলাদেশে ও ৯০ দশকের শুরু থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়ে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মাথায় নির্বাচনের কাজ সমপন্ন করবেন এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। এরি ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অব্যাহত ছিল, কিন্ত ২০০৬ সালের সর্ব শেষ নির্বাচনে ( তত্ত্বাবধায়ক সরকারের) মুল ব্যঘাত ঘটে। নানান নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখর উদ্দীন এবং সেনা প্রধান মঈন উদ্দীন যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, সেখান থেকেই শুরু হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কালো অধ্যায়। ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন সমপন্ন করার কথা থাকলেও ২ বছর ক্ষমতা আকড়ে ধরেছেন। করেছেন অনেক ড্রামাটিকেল সিরিজ। মাইনাস টু ফরমুলা থেকে শুরু করে হ্যন্সত করেছেন দেশের বরন্যে রাজনীতিবিদদের। দেশী বিদেশী চাপ, বিভিন্ন আন্দোলন – সংগ্রামের মাধ্যমে অবশেষে ২০০৮ সালের শেষ দিকে নির্বাচন দিতে বাধ্য হন, নির্বাচিত হন বর্তমান ক্ষমতাশীল দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়, তত্ত্ববধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান।

২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়। এছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়। সেই থেকেই মুলত নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে আসছে, এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ প্রবাসী রয়েছেন, বিদেশের মাটিতে পড়ে থাকলেও প্রবাসীদের মন পড়ে থাকে মা-মাটি আর দেশের আপনজনদের কাছে। এমন প্রবাসী খুব কমই পাওয়া যাবে, যে দেশের খবর রাখে না। কেউ কেউ আবার প্রায় সারাক্ষণই আপনজনের সাথে মুঠো ফোন ও আধুনিক টেকনোলজির বদৌলতে যোগাযোগ রাখছেন। আসন্ন নির্বাচনকে উপলক্ষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সবকিছুই এখন প্রবাসীদের নখ-দর্পণে। নির্বাচন এবং নির্বাচনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কি ভাবছেন বৃটেনের প্রবাসীরা?

২০২১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী বৃটেনে বাংলাদেশীদের সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯ শত। সচেতন মহলের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশে, কখন, কোথায়, কি হচ্ছে? এই নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বৃটেন প্রবাসী কয়েক জনের সাথে আলাপ করলে, তারা তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন।

ব্রিটেনের ম্যানচেষ্টারের গুনীজন, সাংবাদিক, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গনী চৌধুরীর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে, গনতন্ত্রের ধারা বহাল রাখতে, নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে। সুতারাং নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ করা উচিত। একমাত্র নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই সম্ভব দেশের উন্নয়ন করা, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশের নতুন প্রজন্ম থেকে শুরু করে, সকল শ্রেনীর, সকল পেশার মানুষের উচিত ভোট ক্যন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা।

ওল্ডহ্যামে বসবাসরত সাবেক প্রফেসর মহসিন চৌধুরীর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, জনগণের সর্থনের দিক থেকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না থাকায়, সরকারি দল আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই ভোটের মাঠে। ফলে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। একজন প্রবাসী হিসেবে এটা আমাকে ব্যথিত করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের প্রধান উদ্দেশ্য হল জনগণের সাথে সংযুক্ত হওয়া, নির্বাচন বয়কট করে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশী | নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী দলগুলো জনসমর্থন নেই। বিগত ১৫ বৎসরে বাংলাদেশের অর্থণৈতিক উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র সংকোচিত হয়েছে | একতরফা নির্বাচনের ফলে দেশে রাজনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হবে, যা সরকারকে গভীর সংকটে ফেলে দিতে পারে।

এসেক্স এর বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল খলিল রুহেল বলেন, দেশ এখন ভালো অবস্থায় আছে। গত ১৫ বছরে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের আরও উন্নয়ন হবে, দেশের চেহারা বদলে যাবে। এই সরকারের আমলে দ্রব্যমূল্য কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু তা বৈশ্বিক কারণে। ইংল্যান্ডেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।’

বার্মিংহামে বসবাসরত, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসীর মতে, গত ১৫ বছরে সরকার ও প্রশাসন যৌথভাবে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম, খুন, কারাদণ্ড দিয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে; আইন করে গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরেছে; দুর্নীতি ও প্রশাসনিক দলীয়করণ অতীতের যেকোনো সময়কে হার মানিয়েছে; রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর করা হয়েছে। সুতরাং এই সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।

স্কটল্যান্ড থেকে প্রবীন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব শাহনুর চৌধুরী বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে, সুন্দর গঠন মুলক, সকলের অংশগ্রহণ মুলক একটি নির্বাচন দেখতে চেয়েচিলাম কিন্তু বিএনপি নির্বাচিনে না গিয়ে রাজনৈতিক ভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে ভাবেই হোক নির্বাচন যেহেতু হচ্ছে, সকল দলের অংশগ্রহণ উচিত ছিল। বিজয়ের ৫২ বছর পাড়ি দিয়ে, এখন পিছনে যাবার কোন সুযোগ নেই।

লুটনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা, এম এ খান বলেন, দেশের প্রায় এক কোটি ৫৫ লাখ মানুষ প্রবাসে থাকেন। নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য স্বার্থ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের স্পষ্ট পরিকল্পনা অথবা কর্মসূচি চোখে পড়েনি। যা প্রবাসীদের দেশপ্রেমের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর উদাসীনতা প্রকাশ করেছে। সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তেমনটি হলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে যাবে, দেশের পোশাক বাণিজ্য বন্ধ হবে।

ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের – রাজনীতিবিদ এস এম সুজনের সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, দেশের অবস্থা অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে অনেক ভালো, দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ও অনেক সু-দৃঢ। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন কর্তুক নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে, এখানে কোন দলীয় বা সরকারী কোন প্রভাব কাঠানোর অবকাশ নেই। দেশের সকল শ্রেনীর মানুষ সঠিক ভাবে তার ভোটাদিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

লিভারপুল কমিউনিটি নেতা – শেখ সুরত মিয়া আছাব বলেন, প্রবাস বান্ধব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ, যথা সময়ে সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ভাবে বেশ খ্যাতি লাভ করেছে, আশা করছি আগামীতে ও যে সরকার আসবে তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবো। বর্তমান সরকার যে ভাবে আকাশ পথ, জল পথ, স্থল পথ জয় করেছে, আগামী নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।

হার্টলিপুল এর বাসিন্দা গীতিকার, শিল্পী সৈয়দ দুলাল জানান, আমরা এখন ২০২৩ সাল পাড়ি দিয়ে ২০২৪ সালে পা রাখছি, মান্দাত্ত্বার যুগ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, পৃথীবীর উন্নত সকল দেশেই নির্বাচিত সরকারের অধীনে, জাতীয় নির্বাচন সহ সকল স্থানীয় নির্বাচন হয়ে থাকে, সুতারং আমরা সেই ৯০ দশকে যাওয়ার আর কোন সুযোগ নেই। স্বাধীন – সার্বভৌম, গনতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই নির্বাচন হওয়া উচিত।

ইষ্ট লন্ডনের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশের জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচিত সরকারের অধীনে হওয়া উচিত, তিনি বলেন আমরা কি ভুলে গেছি, ২০০৬-২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু:শ্বাসনের কথা, মাইনাস টু ফরমুলা, অর্থনৈতিক অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ার কথা, দেশ বিরোধী, দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা। দেশে অনির্বাচিত সরকার থাকলে, অর্থনৈতিক অবকাঠামো দুর্ভল হয়ে পড়ে, বিদেশীরা হস্তক্ষেপ করে, আমদানি – রপ্তানী খাতে বিশাল ক্ষতি হয়। সুতারং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক ভুত আমাদের মাথা থেকে চীর তরে সরিয়ে ফেলতে হবে।

বার্নলি শহরের ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্র নেতা হোসেন আহমদের মতে, রাজনৈতিক দল গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হলো দলকে সু: সংগঠিত করে, জনগনের পাশে থেকে, নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে,রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অবদান রাখা, নির্বাচন থেকে সরিয়ে যাওয়া, কিংবা বয়কট করা কোন রাজনৈতিক দলের নীতি হতে পারে না।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সকল রাজনৈতিক দলের সমান ও সাংবিধানিক অধিকার, কেননা কোন রাজনৈতিক দল যদি, যে কোন অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সডে দাঁড়ায় বা যেতে চায় না , সেটা তাদের একান্ত দলীয় ব্যাপার।তবে আমি মনে করি রাজনৈতিক দল হিসাবে ,নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় , তারা দেশের জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে,তাতে কোন সন্দেহ নাই।

মিডল্যান্ডস থেকে সিরাজুল ইসলাম তছলু জানান; সময় কারো জন্য অপেক্ষা করেনা, কিন্তু ট্রেইন ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে সময়ের জন্য অপেক্ষা করে। আমি মনে করি, বিএনপি সেই অপেক্ষমান ট্রেইনে উঠতে পারেনি। এটি তাদের রাজনৈতিক দুরদর্শীতার অভাব। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে দেশের সংবিধান এবং জনগণের প্রতি তাদের সম্মান, এবং দায়িত্ববোধ যেমন রক্ষা হতো। অন‍্যদিকে ভোটের মাঠে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, একটি অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন এর ক্ষেত্রে তাদের ভুমিকা জাতির কাছে প্রশংসনীয় হতো। একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে জনগণের কাছে কতটুকু জনপ্রিয়, সেটি প্রমাণ করার একমাত্র অবলম্বন নির্বাচনী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে; সাংবিধানিক কিংবা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব‍্যাহত করে, রাষ্ট্র পরিচালার, স্বপ্ন দেখার কোনো সুযোগ নেই। জাতি ভিষন আশাবাদী যে, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ সুষ্ঠু,ও নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত। পরবর্তী সরকার, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। আর ট্রেইন মিস করা, বিএনপি নামক সংগঠনটি পরবর্তী ট্রেইন আসা পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ থেকে ইসলাম উদ্দীন বলেন, গনতান্ত্রিক দেশে, গনতান্ত্রিক পন্থায়, নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এটাই স্বাভাবিক। সরকারের উপর আস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের দক্ষতার উপর সন্তুষ্ট আছে বলেই অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন করছে, এবং জনগনের মধ্যেও উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

ভিন্ন জনের ভিন্ন মত থাকতেই পারে, তবে দেশের জন্য সকলের আন্তরিকতার কমতি নেই, সবাই চান দেশে এগিয়ে যাক, দেশে শান্তি বিরাজ করুক, অর্থনৈতিক অবকাঠামো আরো শক্তিশালী হোক, রাজনৈতিক স্থীতিশীলিতা বিরাজ করুক, নির্বাচনে কোন সংজ্ঞাত, হানা হানি, মারামারি না হোক। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্ব অনুযায়ী
আগামী ৭ জানুয়ারি, সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের অধীনে, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্টিত হবে এবং এই নির্বাচনকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য, নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।

ইতিমধ্যেই দেশের ৬৪ জেলার প্রশাসক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে,এবং ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তা করার জন্য ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি মেনে চলেন, সেটি নিশ্চিত করার জন্য ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে ইতিমধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

“মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ থেকে নির্বাচনের পূর্ব সময় পর্যন্ত প্রার্থীরা আচরণবিধি লংঘন করছেন কি-না, সেটি দেখার জন্যই ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ৩০শে নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ তারিখ, এর দুইদিন আগ থেকে, অর্থাৎ ২৮শে নভেম্বর থেকে ৪ঠা জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৩৮ দিনের জন্য এই ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।

লেখক : শেখ জাফর আহমদ
যুক্তরাজ্য প্রবাসী, রাজনৈতিক কর্মী

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।