এসকেএম আশরাফুল হুদা ::
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জাদুঘর-গ্যালারি থেকে খোয়া গেছে ১ হাজার ৭ শ’রও বেশি প্রত্নসম্পদ ও চিত্রকর্ম। এসব প্রত্নসম্পদ ও চিত্রকর্ম উদ্ধারে সম্প্রতি তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, যেসব যাদুঘর ও গ্যালারি থেকে এসব প্রত্নসম্পদ খোয়া গেছে, সেসবের মধ্যে লন্ডনের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত দেশটির জাতীয় গ্যালারি ন্যাশনাল পোর্ট্রেট গ্যালারি, রানী ভিক্টোরিয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের মতো রাজকীয় প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া এসব প্রত্নসম্পদ ও চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে ১৮৬৯ সাল ও তার পরবর্তী বছরগুলোতে আঁকা যুক্তরাজ্যের রানী ভিক্টোরিয়ার বেশ কয়েকটি পোর্ট্রেট, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্যের রাজা জনের সময় স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক ম্যাগনাকার্টা চুক্তির মূল কপি, ১৯৪৫ সালে ব্রিটেনের প্রয়াত রানী এলিজাথ ২ এবং তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপসের বিয়ের সময় তোলা ছবির নেগেটিভ, বেশ কিছু দুর্লভ জলরং ও তেলচিত্র, সতের, আঠার এবং উনিশ শতকের বিভিন্ন অ্যান্টিক এবং প্রত্নসামগ্রী। এমনকি এসবের মধ্যে একটি ইঁদুর ধরার প্রাচীন ফাঁদও রয়েছে।
তবে কোন কোন জাদুঘর ও গ্যালারির প্রত্নসম্পদ ও ছবি খোয়া গেছে এবং হারিয়ে যাওয়া এসব জিনিসের বিস্তারিত বিবরণ এখনও জানা যায়নি। বিভিন্ন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য ব্রিটেনের কয়েকটি বড় জাদুঘর ও গ্যালারির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু কোনো জাদুঘর বা গ্যালারি কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেয়নি।
এমনকি এসব প্রত্নসম্পদ চুরি হয়েছে— এমন অভিযোগও নাকচ করেছে অনেক কর্তৃপক্ষ। একটি গ্যালরির কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের বলেছে, ‘আমরা এটাকে চুরি বলতে চাই না। কারণ আমাদের গ্যালরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দৃঢ়। আমরা বলব, কিছু জিনিস যে জায়গায় ছিল এখন সেখানে সেগুলো দেখা যাচ্ছে না।’
বিস্তারিত তথ্য না দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ইতোমধ্যে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় বিভিন্ন জাদুঘর ও গ্যালারি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছে।
এর আগে গত বছর গ্রীষ্মে দেশটির প্রধান জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে ২ হাজারেরও প্রত্নসামগ্রী খোয়া গিয়েছিল।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি