স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কামরাখাই-জয়নগর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অবৈধ তফসিল ঘোষনা সহ নানা অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) জগন্নাথপুর উপজেলার কামরাখাই-জয়নগর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জয়নগর গ্রামের সেবুল মিয়া ও কামরাখাই গ্রামের জহিরুল ইসলাম এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিগত ২০২২ইং তারিখে কামরাখাই-জয়নগর দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ মে ২০২২ইং তারিখে নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা হয়, সে অনুযায়ী আগামী ১৫ মে ২০২৪ইং তারিখে অত্র কমিটির মেয়াদ শেষ হবে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার ৮০দিন পূর্বে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি করে যাছাই-বাছাইয়ের জন্য ক্লাসে ক্লাসে এমনকি নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়ার কথা, কিন্তু তা না করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বর্তমান সভাপতি ৬৯দিন পূর্বে অর্থাৎ ০৯ মার্চ ২০২৪ইং তারিখের একটি রেজুলেশনে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুমোদন দেখাইয়া নিজের মনমতো কমিটি নির্বাচনের উদ্দেশ্যে মনগড়া ভোটার তালিকা তৈরি করেন।
২৭ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে হঠাৎ করে মাইকিং করে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষনার পর আমরা ভোটার তালিকা সংগ্রহ করলে দেখতে পাই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রুমি বেগম যার রোল নং-১৪, ভোটার নং-২২৭ অভিভাবক/ভোটারের এর স্থলে লিখেছেন বিবাহ হইয়া গিয়াছে, সপ্তম শ্রেনির ছাত্রীর অভিভাবকের যায়গায় এই কথাটি লিখা নজিরবিহীন, এটা অবশ্যই বাল্য বিবাহ। এছাড়াও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মাহবুবা বেগম রোল নং-২৫ অভিভাবক মমিনা বেগমকে ভোটার তালিকায় দুইবার এনেছেন ক্রমান্নয়ে ৫৪নং ও ৪১৬নং ভোটার। এছাড়া সেবুল মিয়ার তিন সন্তান প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত থাকায় তাকে ৩বার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হয়। যার ভোটার নং ১২, ২৩, ২৫৩। এমনি ভাবে আরও অনেক ছাত্র/ছাত্রী যাদের পিতা প্রবাসী তাদের মাতাকে ভোটার করেছেন, যা বিধি বহির্ভূত।
তাছাড়া বর্তমান কমিটির মহিলা সদস্য সেলিনা বেগম উনার স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় তাকে ভোটার করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এবারের ভোটার তালিকায় সেলিনা বেগম এর স্বামী ইকবাল হোসেনকে ৪০৫নং ভোটার করেন।
উনার ভাতিজা রুহেল বিদেশ থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী জিবলী বেগমকে ২৫৫নং ভোটার করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা বিধি বহির্ভূত।
এতে বুঝা যায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বর্তমান সভাপতি নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্য অবৈধ ভোটার তালিকা তৈরি করে এমন অবৈধ তফসিল ঘোষণা করা হয়। অভিভাবকরা এ অবৈধ তফসিল বাতিল করে নিয়ম মোতাবেক ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রক্রিয়া গ্রহনের আদেশ দানে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাদরাসার সুপার মাওলানা আমিরুল ইসলাম ফোনটি রিসিভ করে কোন বক্তব্য না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিস্তারিত দেখছেন বলে জানান।