অনলাইন ডেস্ক:
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর পরিবার পেল ২০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী পেয়েছেন দুই লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নিহত দুইজন ছাত্র এবং আহত ছাত্রের অনুকূলে মঞ্জুরিকৃত অর্থের চেক হস্তান্তর করা হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এসব চেক হস্তান্তর করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়েটের দুই ছাত্র নিহত ও এক ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এরপরও সরকার, জেলা প্রশাসন ও বাস মালিক সমিতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনায় চুয়েটের নিহত দুই ছাত্র শান্ত সাহা ও তাওফিক হোসেনের পরিবার ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা এবং আহত ছাত্র মো. জাকারিয়া হাসান হিমু ২ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ছাত্রদের পক্ষ থেকে এ সড়ক প্রশস্তকরণ, নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর দাবি ছিল। আমরা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন। আমাদের ছাত্ররা বেশকিছু দাবি উত্থাপন করে। তিনি তাদের দাবিগুলো পূরণের অঙ্গীকার করেন, তিনি কথা রেখেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা মর্মাহত। যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের দুই ছাত্র নিহত ও একজন ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যার কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূলে চলে আসে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে পুত্রের মৃত্যুর স্মৃতিচারণ করেন নিহত শান্ত সাহার পিতা কাজল সাহা ও তাওফিক হোসেনের পিতা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন আহত ছাত্র মো. জাকারিয়া হাসান হিমু। উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, নিহত ও আহত ছাত্রদের পরিবারের সদস্যরা।