নিজস্ব প্রতিবেদক: সাত দিন ধরে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিএনপির নেতারা বলছেন, বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে গত কয়েক মাসে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। টানা ১০ দিনের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ২ জুলাই বাসায় নিয়ে আসা হয় তাকে। কিন্তু ৫ দিনের ব্যবধানে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে ৮ জুলাই ভোর রাতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এখন পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে তাকে দেখতে দুই সন্তানের পরিবারের কেউ দেশে আসেনি। তবে নিয়মিত পরিবারের সদস্যরা ভার্চুয়ালি তার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার দুই সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিবার ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফত রহমান কোকোর পরিবার লন্ডনে থাকেন। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকাকালে এবং বিভিন্ন সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকলে তাকে দেখতে দেশে আসতেন কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়ে। এবার এখন পর্যন্ত তাদের কেউ দেশে আসেনি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো না। চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। বাকিটা আল্লাহর রহমতের উপর নির্ভর করছে। ম্যাডাম এমনিতে কম খাবার খান। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী উনার জন্য খাবার তার গুলশানের বাসভবন থেকেই যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুস সাত্তার বলেন, পরিবারের কেউ এখন দেশে আসেনি। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ পরিবারের সবাই সার্বক্ষণিক ম্যাডামের চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের স্বাস্থ্যের অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। সিসিউই সুবিধা সম্বলিত কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ চিকিৎসা চলছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি আসছে
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে চলতি সপ্তাহ থেকে আবারও মাঠের কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, চলতি সপ্তাহে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচির পাশাপাশি সরকারের দুর্নীতি, ভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিটের চুক্তি নিয়েও কর্মসূচি দেওয়া হবে। কর্মসূচির মধ্যে বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধন পদযাত্রা, গণমিছিলের চিন্তা রয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, আমাদের আন্দোলন চলমান আছে। ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি আসবে।
খালেদা জিয়ার ফাইল ফটো