মির্জা আবুল কাসেম:
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের দারস্থ হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সংগঠনের চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল আহমদ খান স্যার কেয়ার স্টারমারের কাছে প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করেন- সাম্প্রতিক বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন দিক আপনার নজরে আনতে এবং বোঝার জন্য আমরা আপনার দারস্থ হয়েছি।
২০১৮ সালে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের কারণে সরকারি চাকরিতে কোটা বিলুপ্ত করক হয়। তবে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করে। যার কারণে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ছাত্রদের পক্ষের রায় বিলুপ্ত করেন। আদালতের রায় চলে যায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পক্ষে।
এরই ধারাবাহিকতায় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা আপিল না করে আন্দোলনে নামে। সরকার শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়।
একই সাথে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে শিক্ষার্থীদের জানানো হয় চলতি বছর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের নির্ধারিত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে। কারণ সরকারের চলমান বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। তাই আদালতের নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপরই সরকারের সর্বোচ্চ প্রদক্ষেপে আদালতের রায়ে কোটা সংষ্কারের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে যায়।
এরও আগে কোটা নিয়ে আপত্তি, বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয়েছিল ইসলামী ছাত্র শিবির (জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন) যে সংগঠন ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
চলতি বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশে ছাত্র বিক্ষোভ নাটকীয়ভাবে ব্যাপক সহিংসতায় রূপ নেয়। এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তৃতীয় পক্ষের রাজনৈতিক