মুহাম্মদ সালেহ আহমেদ :
ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে এর উদ্যোগে ঢাকাদক্ষিণের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক ডাক্তার বাসুদেব কর্মকার ( বি, কর্মকার)কে এক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে গত ২৫ শে আগষ্ট লন্ডনের চিলড্রেন এডুকেশন সেন্টারে ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে’র সভাপতি তছউর আলী’র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুর এর পরিচালনায় কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সহ সভাপতি মৌলানা আশরাফুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি, ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি ভয়েস এর সভাপতি, সিজিই ক্যারম এসোসিয়েশন ইউকে সভাপতি সেলিম উদ্দিন চাকলাদার, দেওয়ান নজরুল ইসলাম, তমিজুর রহমান রন্জু, সাবেক কাউন্সিলার আমিনুর রশিদ খান, রহিম উদ্দিন মুক্তা, ময়নুল ইসলাম, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট আব্দুল কাদির, আশরাফ হোসেন শফি. এমদাদ হোসেন টিপু, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট রেদোয়ান হোসেন রেজা, হাওয়া টিভি’র সিইও রুমানা আনাম, সিজিই চেয়ারম্যান ও কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট জামালুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে এর সদস্য হেলাল আহমেদ, কামরুজ্জামান চাকলাদার, জাহাঙ্গীর বাদল, শামীম আহমেদ, মিনারা আলী ও তাহমিনা বেগম, ডাক্তার বাসুদেব কর্মকারের সহধর্মীনী আভা কর্মকার।
সভায় বক্তারা বলেন, ডাক্তার বাসুদেব কর্মকার ৪৩ বছর ধরে ঢাকাদক্ষিণে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পূর্ব সিলেটের একজন মানবহিতৈষী ডাক্তার হিসাবে সমধিক পরিচিত। বিশেষ করে বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, জকিগন্জ, কানাইঘাট, গোনাইনঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ বিশ্বনাথ ওসমানী নগর, বালাগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। বি কর্মকারের রোগ নির্ণয় অত্যন্ত নিখুঁত। যাঁর কারণে এতো বছর ধরে একই জায়গায় বসে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। ডাক্তারী পেশাটা হচ্ছে মানবতার সেবা। তিনি একজন অত্যন্ত কমিটেড, সত্ মানবিক মানুষ। বিশেষ করে ইংল্যান্ড আমেরিকা, ফান্সসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ডাক্তার হিসাবে পরিচিত। সবার সঙ্গে আন্তরিক সুসম্পর্ক রয়েছে। গরীব অসহায় মানুষের জন্য সব সময় পাশে থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
ঢাকাদক্ষিণের মাটি ও মানুষের সংগে এক আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। যে কোন সামাজিক প্রয়োজনে এলাকার উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত । তিনি প্রবাসীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান, এলাকায় য উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।প্রবাসীরা সবসময়ই এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলছেন।বিভিন্ন দুর্যোগময় মুহূর্তে পাশে থাকেন বলে উল্লেখ করছেন। প্রবাসীদের অর্থায়নে গোলাপগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ভূমি ক্রয়করে দান করে দিয়েছেন।ঢাকাদক্ষিণ বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গেইট নির্মাণও ঢাকা দক্ষিণ সরকারি কলেজের অনার্স কোর্স চালুসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।আগামীদিনে ও সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যাবে। পরে এক মধ্যহ্ণ ভোজনের ব্যবস্থা ছিল। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।