জগন্নাথপুর টাইমসরবিবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি শহরে ১২১ বছর পর পোস্ট কার্ডটি এলো ঘরে

Jagannathpur Times Uk
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪ ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সাজিদুর রহমান :

যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি শহরে ১২১ বছর পর পোস্ট কার্ডটি এলো ঘরে, গ্রহণ করলেন উত্তরসূরিরা।

পোস্ট কার্ডটি এক ভাই তাঁর বোনকে পাঠিয়েছিলেন। ১ বা ২ বছর আগে নয়, পাক্কা ১২১ বছর আগে। এত বছর পর পোস্ট কার্ডটি গন্তব্যে এসেছে। তবে বেঁচে নেই প্রেরক-প্রাপকের কেউ। আছেন তাঁদের উত্তরসূরিরা। বহু পুরোনো এই পোস্ট কার্ডের সূত্র ধরেই একজন নারী খুঁজে পেলেন তাঁর হারানো স্বজনদের। পারিবারিকভাবে এক পুনর্মিলনীও হয়েছে তাঁদের।

অবাক করা এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি শহরে। গত আগস্টের শুরুর দিকে পোস্ট কার্ডটি গন্তব্যে পৌঁছেছে। একই এলাকায় পোস্ট কার্ডের গন্তব্যস্থলের অদূরেই থাকেন ৫৮ বছর বয়সী হেলেন রবার্টস। পোস্ট কার্ড তাঁর দাদার শৈশবের বাড়ির ঠিকানায় আসে। দাদার ঠিকানা এখনো মনে করতে পারেন হেলেন।

১২১ বছর আগে ওই পোস্টকার্ড পাঠিয়েছিলেন হেলেনের দাদার ভাই এওয়ার্ট। প্রাপক ছিলেন এওয়ার্টের বোন লিদিয়া। ওই সময় এওয়ার্ট ওয়েলসের উপকূলীয় শহর ফিশগার্ডে নিজের দাদার বাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকেই বোনের কাছে পোস্ট কার্ড পাঠিয়েছিলেন তিনি।

পুরোনো পোস্ট কার্ডটির হদিস পাওয়ার পর অনলাইনে নিজের পরিবারের উৎস-বিন্যাস (ফ্যামিলি ট্রি) খুঁজতে শুরু করেন হেলেন। পরে লিদিয়ার পরিচয় বের করার সূত্রে আত্মীয়তার সম্পর্কের যোগসূত্র খুঁজে পান।

হেলেন ও তাঁর বোন মার্গারেট স্পুনার গত বুধবার এওয়ার্টের নাতি নিক ডেভিস ও লিদিয়ার নাতনি ফেইথ রেনল্ডসের সঙ্গে দেখা করেন। ডেভিস ওয়েস্ট সাসেক্স থেকে ও রেনল্ডস ডেভোন থেকে পারিবারিক পুনর্মিলনীতে অংশ নিতে ছুটে আসেন।

উচ্ছ্বসিত হেলেন বলেন, ‘দারুণ একটা দিন কাটিয়েছি। বর্ধিত পরিবারের দুই স্বজনের সঙ্গে দেখা হয়েছে। যদিও আমি তাঁদের কথা আগে কখনো শুনিনি। জানতামও না। এখন আমার দাদার ভাই-বোনদের সম্পর্কে আরও জেনেছি।’

হেলেন আরও বলেন, ‘নিক ও ফেইথ তাঁদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের কথা অনেক কিছু জানতেন। এখন আমরা যা জানতাম, সেসবও তাঁদের জানিয়েছি। আমরা ই-মেইল আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রাখব।’ পরিবারটির সদস্যরা এখন যুক্তরাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। কেউ আছেন কানাডায়। হেলেনের মতে, তিনি তাঁর পরিবারের আনুষ্ঠানিক উৎস-বিন্যাস তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।