সাজিদুর রহমান,
অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
আইসিসির এই আদেশ আমলে নিয়ে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশ কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র।
নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, স্পেন, ইতালি, সুইডেন, বেলজিয়াম ও নরওয়ে। এছাড়া যুক্তরাজ্য ও উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডাও নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের প্রতিশ্রতি ব্যক্ত করেছে।
গত মে মাসে নেতানিয়াহু, তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ, হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও গাজার হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান।
তার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট এবং মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালত। হানিয়া এবং সিনওয়ার ইতোমধ্যে নিহত হওয়ায় তাদেরকে এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আইসিসির এই পরোয়ানা জারি পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি রাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আদালতের পরোয়ানা মেনে নিয়ে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত। অনেকে আবার নেতানিয়াহুর প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের মাটিতে পা রাখলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করবে দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শুক্রবার মুখপাত্র বলেন, “যুক্তরাজ্য সবসময় অভ্যন্তরীণ আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নির্ধারিত আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে।”
নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করা হবে কি না, এ বিষয়ে সরাসরি জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, “তিনি ‘নির্দিষ্ট কোনও মামলার বিষয়ে কথা বলবেন না।”
যুক্তরাজ্যের লেবার এমপি এমিলি থর্নবেরি বলেছেন, যদি নেতানিয়াহু ব্রিটেনে আসেন, তবে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অধীনে তাকে গ্রেফতারে আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটা কোনও প্রশ্ন নয়, আমরা বাধ্য, কারণ আমরা আইসিসির সদস্য।
অন্যদিকে, ফ্রান্স জানিয়েছে, পরোয়ানাটি বৈধ। তবে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করা ‘আইনগতভাবে জটিল’ হবে। সূত্র: আরটি, টাইমস অব ইসরায়েল