জগন্নাথপুর টাইমসসোমবার , ১০ এপ্রিল ২০২৩, ৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জগন্নাথপুর প্রাণিসম্পদ দপ্তর চলছে অর্ধেকের কম জনবল দিয়ে

Jagannathpur Times BD
এপ্রিল ১০, ২০২৩ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রিয়াজ রহমান :
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ
দপ্তরের কার্যক্রম চলছে অর্ধেকের থেকে কম লোকবল দিয়ে।
এই দপ্তরের ১১ টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন।
খালি রয়েছে ৬টি পদ।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেরেনারি সার্জন,
ভেটেরেনারি ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট, ভেটেরেনারি ফিল্ড
এসিস্ট্যান্ট (প্রজনন),কম্পাউন্ডার, ড্রেসার,অফিস
সহকারীসহ বিভিন্ন পদে মোট ১১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে
গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদশূন্য
রয়েছে। এদিকে, লোকবল কম থাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের
কাজ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা না থাকার কারনে
ভেটেরিনারি সার্জনকে পালন করতে হয় প্রাণিসম্পদ
কর্মকর্তার দায়িত্ব। উপজেলার একমাত্র ভেটেরিনারি
হাসপাতাল হিসাবে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি
ভেটেরিনারি সার্জনকে জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন সভায়
বা প্রশিক্ষণে উপস্থিত থাকতে হয়। তখন প্রাণিসম্পদ
কার্যালয় থেকে জনসাধারণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
তাছাড় ভ্যাকসিনেশনসহ বিভিন্ন কাজে ফিল্ডে যেতে হয়
কর্মকর্তা কর্মচারীদের তখনও উপজেলা অফিস খালি হয়ে
যায়।

সচেতন কৃষক জানান,কৃষির মতো প্রাণিসম্পদ ও
অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উপজেলা কৃষি
অফিসের অধীনে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপসহকারী
কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু উপজেলা প্রাণিসম্পদ
কর্মকর্তাকে একাই পুরো উপজেলা দেখতে হয়। ইউনিয়নে
কর্মকর্তা দেওয়া দূরে থাক, মূল জনবল কাঠামো অনুসারে
যে জনবল সেগুলোই আমাদের উপজেলায় নাই।
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানাযায়,জগন্নাথপুরে
প্রতিদিন মাংস, ডিম ও দুধের উৎপাদন বাড়ছে। খামারীদের
সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ বছর কোরবানীর সময়ে
প্রয়োজনীয় কোরবানীর পশুর চাহিদার অর্ধেক স্থানীয়ভাবে
মিটানো সম্ভব ।
জগন্নাথপুরের বাজারে গাভীর দুধের চাহিদার তুলনায়
খামারের সংখ্যা খুব কম। এর কারন এই উপজেলা হাওর বেষ্টিত
এলাকা বছরের বেশী সময় এই এলাকা থাকে পানির নিচে।
পর্যাপ্ত ঘাস না পাওয়ার কারনে খামারীরা গাভীর খামার করতে
আগ্রহ প্রকাশ করেননা। ডিম উৎপাদনে জগন্নাথপুর
কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। লেয়ার মুরগীর খামার না থাকলে
ও বর্তমানে ব্যাপকভাবে হাঁসের খামার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনেক খামারী জানান,প্রাণিসম্পদ দপ্তরে জনবল সংকটের
কারণে ভালো সেবা পাওয়া যায় না। জরুরী প্রয়োজনের সময়
তাদের দেখা মেলে না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ডাঃ
মোঃ খালেদ সাইফুল্লাহ জানান,প্রতিদিনই খামারীর
সংখ্যা বাড়ছে। সরকারও প্রণোদনা,সহজ শর্তে ঋণসহ
বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এ বছর কোরবানীর পশুর
চাহিদা স্থানীয়ভাবেই অর্ধেক পূরন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, অনেক শিক্ষিত যুবক এখন খামার স্থাপনে
আগ্রহী হচ্ছে। তারা যাতে বিজ্ঞানভিত্তিক পশুপালন করতে
পারে-সেজন্য প্রাণিসম্পদ অফিস সার্বক্ষণিক তাদের
সেবা দিয়ে যাচ্ছে। লোকবল সংকট থাকার কথা স্বীকার করে

তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা
হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।