জুবায়ের আহমেদ ,
জগন্নাথপুর টাইমস ডেস্কঃ
বাঙালির স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতা, সকল সংগ্রামের সূতিকাগার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানের ব্যক্তি ও
রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গি হামলার
প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) লন্ডন সময় দুপুর ২ঘটিকায় লন্ডন বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে শত শত প্রবাসী বাঙালি। আওয়ামী লীগ ছাড়াও ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে দলমত নির্বিশেষে প্রবাসীরা অংশ নিয়ে এর প্রতিবাদ জানায়।
তাৎক্ষনিক এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল আহাদ চৌধুরী, হরমুজ আলী, নইম উদ্দিন রিয়াজ, সৈয়দ ছুরুক আলী, আব্দুল হান্নান, হাজী জিল্লুল হক, মারুফ চৌধুরী, শাহ শামীম আহমদ, মেহের নিগার চৌধুরী, মোবারক আলী, আ.স. ম মিসবাহ, আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, মাসুক ইবনে আনিস, ফখরুল ইসলাম মধূ, জামাল আহমদ খান, আনজুমান আরা আঞ্জু, ফয়েজ খান তৌহিদ, নাজমা বেগম, তামিম আহমদ ও খালেদ আহমদ শাহীন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ গ্রহনকারীরা বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকাসহ দেশ জুড়ে একযোগে আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্টদের স্থাপনায়
যত হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তা ছিল জঙ্গীগোষ্ঠি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সুপরিকল্পিত একটি পরিকল্পনা। এর পেছনে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুলল্লাহ, সারজিস আলম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও ড.ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বিদেশ থেকে এদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রেখেছে পিনাকী ভট্রাচার্জ, ইলিয়াস হোসেন, কনক সরোয়ার, সাইফুর সাগর সহ কয়েকজন ।
যারা বিদেশে বসে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর পেছনে ড. ইউনুসের সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ বাঁধা দেয়নি। পুলিশ এবং আর্মি দূর থেকে নীরবে দাড়িয়ে দেখেছে জঙ্গিদের উল্লাস ।
বক্তারা বলেন, হামলা কারীরা যখন ভবন গুড়িয়ে দিচ্ছিল তখন দেখা গেছে হামলাকারীদের কয়েকজন ওই ভবনে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পতাকা টানিয়েছে। দেশব্যাপী ভবন ভাংচুর করতে ব্যবহার করা হয় সরকারী এস্কেভেটর। এতে বিষয়টি পরিস্কার অন্তবর্তিকালীন সরকারের পৃষ্টপোষকতায় হামলাকারীরা দেশব্যাপী তান্ডব চালাচ্ছে। বিষয়টি আরো পরিষ্কার পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদে স্বাধীনতা বিরোধীরা ১৯৭১ এর প্রতিশোধ নিচ্ছে।
বিক্ষোভ কারীরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন- এই সরকার বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর থেকে দেশব্যাপী মবজাষ্ট্রিজ, একের পর এক মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা এবং দেশব্যাপী জঙ্গিদের উত্থান এরই ইঙ্গিত বহন করে।
সমাবেশকারীরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সমূহ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, আপনারা বাংলাদেশের ১৮কোটি মানুষকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করুন। বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাঝে বসবাস করে আসছে। এখানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে অভ্যস্থ। বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান না ঠেকাতে পারলে এর পরিনতি ভোগ করতে হবে- ভারত সহ দক্ষিন এশিযার দেশগুলোকে। সমাবেশ থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে গতকালের হামলার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি