জগন্নাথপুর টাইমসসোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যে ৬০৯ জন নথিবিহীন অভিবাসী কর্মী গ্রেপ্তার

Jagannathpur Times Uk
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ ৯:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বেলাল আহমেদ বকুল,
জগন্নাথপুর টাইমস অনলাইন ডেস্ক :

প্রতিদিনই যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসী কর্মী গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।

গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যে ৬০৯ জন নথিবিহীন অভিবাসী কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। এই সংখ্যা ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় শতকরা হিসেবে ৭৩ শতাংশ বেশি, সে বছরের জানুয়ারিতে ৩২৫ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যুক্তরাজ্যে।

রাজধানী লন্ডনসহ বিভিন্ন শহরের ৮ শতাধিক পানশালা, রেস্তোরাঁ, গ্যারেজ ও ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির সরকার নথিবিহীন অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং যেসব অপরাধী গ্যাং তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে, সেগুলোকে নির্মূলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবেই চালানো হয়েছে এ অভিযান।

কেয়ার স্টারমারের পূর্বসূরী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সময়ও যুক্তরাজ্যের নথিবিহীন অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে রুয়ান্ডা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার নেতৃত্বাধীন সরকার। রুয়ান্ডার সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তিও করা হয়েছিল।

তবে গত বছর ক্ষমতায় আসার পর সেই চুক্তি বাতিল করেন স্টারমার এবং ঘোষণা করেন, অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে কঠোর অভিযান চলমান থাকবে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, “নিয়োগকর্তারা অনেক দিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের শোষণ করছেন এবং নিয়মিত দেশে প্রচুর সংখ্যক অভিবাসপ্রত্যাশীর আগমণ ঘটছে এবং এ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সেইভাবে আইনানুগ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

বিগত সরকারের আমলে আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, যার সুযোগ নিয়ে মাথাচাড় দিয়ে উঠেছিল মানবপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধী গ্যাংগুলো। এই অপরাধী গ্যাংগুলোকে নির্মূল করতে আমরা লাগাতার কঠোর অভিযান শুরু করেছি এবং সীমান্ত নিরাপত্তা আইনেও সংশোধন আনছি।”

প্রসঙ্গত, ইউরোপ মহাদেশভুক্ত দেশ হলেও মহাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরাসরি যুক্ত নয়। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডস্থিত দেশ ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যকে পৃথক করেছে ইংলিশ চ্যানেল নামের ছোট ও সংকীর্ণ একটি সাগর।এই সাগরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে সর্বোচ্চ ২৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বনিম্ন ৩৪ কিলোমিটার।

বিশ্বের অন্যান্য সাগরের তুলনায় আকার-আয়তনে ছোট হলেও যাতায়াতের পথ হিসেবে বেশ বিপজ্জনক ইংলিশ চ্যানেল। ভৌগলিক কারণেই শীতল পানির এই সাগরে বছরের অধিকাংশ সময়ে বিরূপ আবহাওয়া থাকে।

তবে এই সাগরটি বিশ্বের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক জলপথগুলোরও একটি। আবার অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীরাও এই সাগরপথ দিয়েই প্রবেশ করেন যুক্তরাজ্যে।

যুক্তরাজ্যে অবশ্য বৈধ অভিবাসনও বাড়ছে প্রতি বছর। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত রেকর্ড ৭ লাখ ২৮ হাজার বৈধ অভিবাসী প্রবেশ করেছেন যুক্তরাজ্যে। এর আগে কোনো বছরের প্রথম ৬ মাসে এত বেশি সংখ্যক অভিবাসী দেশটিতে প্রবেশ করেছেন— এমন ঘটনা ঘটেনি।

সূত্র : এএফপি

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।