নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:
সিলেট মুরারিচাঁদ কলেজে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহবানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে।
২৫ ক্যাডারের ১২ কর্মকর্তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার ও আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
রোববার (২ মার্চ) বিসিএস ২৫ ক্যাডারের মুরারিচাঁদ কলেজ ইউনিটের সদস্যদের এই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষে কলেজের ফটকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বক্তারা বরখাস্ত হওয়া বিভিন্ন ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তার বরখাস্তের আদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে সসম্মানে তাদের পদে ফিরিয়ে আনার দাবী জানান। এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার এসোসিয়েশন মুরারিচাঁদ কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাগর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আকমল হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর মোহাম্মদ তোফায়েল আহাম্মদ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার এসোসিয়েশন মুরারিচাঁদ কলেজ ইউনিটের সভাপতি প্রফেসর মো আবুল কালাম আজাদ, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজের সভাপতিত্বে এসময় বক্তারা বলেন, ২৫ ক্যাডারের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও উপসচিব পুলে কোটা বাতিলের জন্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর একটি গোষ্ঠীর ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা দেখা গেছে।
সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে প্রশাসনিক ফ্যাসিজম আরও শক্তিশালী হবে। আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব নিয়ে ফেসবুকে লেখার কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা শুরু হয়েছে। তাদের সকলের বরখাস্তের আদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে সসম্মানে তাদের পদে ফিরিয়ে দিতে হবে।