জগন্নাথপুর টাইমসশনিবার , ২৮ জুন ২০২৫, ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সেনাবাহিনীর অভিযান : গুলিতে ১জন নিহত, আটক ৪ জন

Jagannathpur Times Uk
জুন ২৮, ২০২৫ ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

এসকেএম আশরাফুল হুদা, জগন্নাথপুর টাইমস অনলাইন ডেস্ক :

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী ও অস্ত্রধারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় আবু সাঈদ (৩১) নামে এক স্যানেটারি মিস্ত্রী অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার (২০ জুন) দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেন ও বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি আতিকুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত রবিবার হাতিয়া গ্রামের গাধিয়ালা এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় একরার হোসেনের সমর্থকরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আবু সাঈদ (৩১) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় স্যানেটারি মিস্ত্রী ছিলেন। ঘটনার সময় তিনি ওই এলাকায় একটি বাড়ির পানির ট্যাংকে কাজ করছিলেন। ঘটনার পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী রাতভর অভিযান চালায়। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় অভিযান শেষ হয়।

এসময় ৪ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া ও জমির মিয়াকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আবু সাঈদ নামের ওই ব্যক্তি অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
তল্লাশি চালিয়ে আটক ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক, ৪টি পাইপ গান, ৭টি রামদা, ৯টি বল্লম, ৬টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, একটি তাজা গুলি ও একটি ফায়ারকৃত ব্ল্যাংক কার্টিজ উদ্ধার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সশস্ত্র মহড়ার অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। আটক ৪ জনকে এবং উদ্ধার করা অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়না-তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিকভাবেই উত্থান যুবলীগ নেতা একরার ও তার বাহিনীর। একরার ও তার বাহিনীর লোকজন এলাকায় ভোটকেন্দ্র দখল, জলমহাল দখলসহ একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার এবং মহড়া হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকেছে একরার ও তার লোকজন।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।