মোঃ তারিকুল ইসলাম জাওহার, সিলেট থেকে :
টাইফয়েড জ্বরের প্রাদুর্ভাব সিলেটে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।
সম্প্রতি সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টাইফয়েড জ্বরের প্রাদুর্ভাব লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দূষিত পানি এবং অপরিচ্ছন্ন খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, যার মধ্যে শিশু ও কিশোরদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, টাইফয়েড একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ, যা সাধারণত দূষিত পানি বা খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ছড়ায়।
টাইফয়েডের প্রধান লক্ষণগুলো হলো দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া, পেট ব্যথা বা অস্বস্তি, দুর্বলতা, ক্লান্তি, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং মাঝে মাঝে গায়ে রাশ।
টাইফয়েড প্রতিরোধ সম্ভব যদি প্রত্যেকে বিশুদ্ধ পানি পান করে এবং বাইরের খাবার, ঠান্ডা পানি ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ না করে।
জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি না হলে, টাইফয়েড পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, তিনি টাইফয়েড ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানান।
গত ৭ জুলাই ”টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন – ২০২৫” উপলক্ষে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সভাকক্ষে সিলেট যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সিসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
উপস্থিত ছিলেন বিডিআরসিএস এর সহকারী পরিচালক ও সিলেট ইউনিট লেভেল অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআরসিএস ও সিসিকের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি