আব্দুর রহিম,
সিনিয়র রিপোর্টার, জগন্নাথপুর টাইমস :
ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে ২৬-২৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় “৬ষ্ঠ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ওপেন ২০২৫”।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে শেষ হয়েছে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা।
এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশের পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড় অংশ নেন। বিদেশি দলগুলোর মধ্যে ছিল ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, কুয়েত ও ইরান।
উক্ত প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন ইরানের সেপার এবং শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন সেনাবাহিনীর কর্পোরাল শাহাদাৎ হোসেন।
মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন মালয়েশিয়ার ভিনিকা সাইনি এবং শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মার্জান মনিকা।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকর-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করার পাশাপাশি বিদেশি পেশাদার খেলোয়াড়দের সাথে খেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের মান সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছে।’’
তিনি আরোও বলেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতার সংখ্যা বৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রশিক্ষন ব্যবস্থার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ ওলিম্পিক এসোসিয়েশন স্কোয়াশ ফেডারেশনের পাশে থাকবে ইন-শা-আল্লাহ।”
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, “অতিতের পাঁচটি আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগীতা আয়োজনের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে আমরা একসাথে পাশাপাশি ৬ষ্ট বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ওপেন ২০২৫-র দুটি প্রতিযোগীতা আয়োজনের সাহস পেয়েছি। আমরা স্কোয়াশ খেলাকে জনপ্রিয় করে দেশের মান-সন্মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বদ্ধপরিকর।”
বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে এত বড় দুটি প্রতিযোগিতা স্পন্সর করার জন্যে আর.এফ.এল ও এ.সি.আই গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল শামীম, ঢাকা লজিস্টিক এরিয়ার জিওসি, বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আরএফএল ও এসিআই গ্রুপের প্রতিনিধি এবং দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় ও তাদের অভিভাবকেরা।
উল্লেখ্য, ফেডারেশনের উদ্যোগে গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক মানের একাধিক স্কোয়াশ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে দেশের নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছে এবং বিশ্ব স্কোয়াশ মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হচ্ছে।