জগন্নাথপুর টাইমস ডেস্ক রিপোর্ট :
বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা ও বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে টাওয়ার হ্যামলেটস টাউন হলের ওপেন ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলের ষাট বছর পূর্তি ও নতুন টাউন হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় একই সময়ে।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল টাউন হলে।
আগতদের আলাদা আলাদা দলে পুরো টাউন ঘুরে দেখান স্থাপতি এবং কাউন্সিলের অফিসাররা। অতিথিদের, দর্শনার্থী এবং কাউন্সিলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ফলক উন্মোচন করেন নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান।
মেয়র বলেন, আজ টাওয়ার হ্যামলেটসের জন্য এক গৌরবের দিল। এক ঐতিহাসিক দিন। আমাদের নতুন টাউন হল-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক উন্মোচনের সম্মান পেয়েছি আমি। এর মাধ্যমে ২৫০ বছরের পুরনো প্রাক্তন রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালকে পুনরুদ্ধার করে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি আবার জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। যে হাসপাতাল প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষকে সেবা দিয়েছে, আজ সেটিই রূপান্তরিত হয়েছে টাউন হলে – যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সেবা দেবে। এটি সত্যিই এক মাইলফলক।
লুৎফর বহমান বলেন, আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ যে আমি মেয়র হিসেবে এই ভবনটি অধিগ্রহণ করতে পেরেছিলাম এবং আজ আপনাদের সকলের সাথে দাঁড়িয়ে আমাদের নতুন টাউন হল উদ্বোধন করতে পারছি।
উল্লেখ্য, ১৭৫৭ সালে নির্মিত গ্রেড ২ তালিকাভুক্ত রয়েল লন্ডন হাসপাতালের পুরনো ভবনটি ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ ছিল। ভবনটি প্রায় সাড়ে ৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ক্রয় করে কাউন্সিল। প্রায় ১শ ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে সংস্কার শেষে ২০২৩ সালে কাউন্সিলের নিজস্ব টাউন হলে রূপান্তর করা হয়। নতুন নিজস্ব টাউন হল করার কারণে প্রতি বছর কাউন্সিলের সঞ্চয় হবে প্রায় ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড। টাউন হলে রূপান্তরের পরে ২০২৫ সালে অসাধারণ নকশা এবং নির্মানশৈলীর উপর ২০২৫ সালে দ্যা রয়েল ইন্সটিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিট্যাক্টস সংক্ষেপে রিবা লন্ডনের দুটি সম্মানজনক এওয়ার্ড ‘রিবা লন্ডন বিল্ডিং অব দ্যা ইয়ার’ এবং ‘রিবা লন্ডন এওয়ার্ড’ জিতে টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন টাউন হল।
নামফলক উন্মোচনে নির্বাহী মেয়রের সাথে ছিলেন ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মা্য়ূম মিয়া তালুকদার. করপোরেট ডাইরেক্টর স্টীভ রেডি, ফ্যাসিলিটি হেড সারা স্টীয়ার্স এবং ব্যারোনেস পলাউদ্দিনসহ আরো অনেকে।
একই সময়ে দুই ডেপুটি ইয়ং মেয়র খাদিজা দিরির এবং ইফতি ভুইয়া বাংলায় লেখা একটি নাম ফলক উন্মোচন করেন।
নামফলক উন্মোচনের আগে লাভ টাওয়ার হ্যামলেটসের মঞ্চ থেকে অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান। আর আগে চেম্বার হলে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ৬০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল একটি কেক কাটেন নির্বাহী মেয়র লুতফৃর রহমান এবং কাউন্সিলের চীফ এক্সিকিউটিভ স্টিফেন হৌলসিসহ অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের চিফ এক্সিকিউটিভ স্টিভ হৌলসি বলেন,
“নতুন টাউন হল শুধু একটি ভবন নয়, এটি আমাদের কমিউনিটির জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ ঘটেছে, যা আমাদের সবার জন্য গর্বের বিষয়।”
এ সময় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, কমিউনিটি ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ছিল কেক কাটা, ফটো প্রদর্শনী, বিভিন্ন কমিউনিটির সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ফেস পেইন্টিং, বেলুন মডেলিং, ফিটনেস সেশনসহ নানা পারিবারিক ও কমিউনিটি আয়োজন। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংগঠনের স্টল নিয়ে ছিল কমিউনিটি মার্কেটপ্লেস।
নতুন টাউন হলের উদ্বোধন ও ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে টাওয়ার হ্যামলেটসবাসীর মধ্যে ছিল উৎসবের আমেজ ও গর্বের অনুভূতি।