রিয়াজ রহমানঃ
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম প্রায় সময় অফিসে অনুপস্থিতি থাকার কারণে প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষা অফিসে সেবা নিতে এসে শিক্ষক ও সেবাপ্রার্থীরা নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
জানা যায়, গত কয়েক দিন যাবত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়মিত অফিসে উপস্থিত না থাকায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের জটিলতা তৈরি হয়েছে।
এতে এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শৈথিল্য দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাগজপত্র দাখিল ও অনুমোদনের কাজে বারবার অফিসে আসলে ও স্যারকে না পাওয়ায় কাজ সম্পন্ন করতে দেরি হচ্ছে। এতে পাঠদানের মান ও শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্দিষ্ট সময় অফিসে উপস্থিত থাকেন না। অনেক সময় দিনের বেশিরভাগ সময় অফিস বন্ধ পাওয়া যায়। এতে শিক্ষক, অভিভাবকসহ সাধারণ সেবা প্রার্থীদের অতিরিক্ত সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। কেউ কেউ একাধিকবার এসে কাজ শেষ করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান,জরুরি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করাতে এসে স্যার না থাকায় আমাদের কয়েকবার আসা-যাওয়া করতে হয়েছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।”
এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহন লাল দাস বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এক দিন শুধু ৯ নভেম্বরের ছুটি নিয়েছেন। তবে অনুপস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।
উল্লেখ্য, জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এর ওপর অফিস প্রধানের নিয়মিত অনুপস্থিতি নতুন করে বিপাকে ফেলেছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
