নিজস্ব প্রতিবেদক, মালয়েশিয়া :
মালয়েশিয়া পার্লামেন্টের স্পীকার হলেন বাংলাদেশী বংশদ্বোত মালয়েশিয়ান নাগরিক সৈয়দ আবুল হোসেন দাতু । সৈয়দ আবুল হসেন স্পীকার নির্বাচিত হওয়াতে বাংলাদেশ এবং লন্ডনে এলাকাবাসী ও তাঁর আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। ইংল্যান্ডের ডার্লিংটন শহরে বসবাসতরত সৈয়দ আবুল হোসেনের চাচত ভাই বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা ও ঈমাম সৈয়দ ছাবির আহমদ বলেন এতে আমরা আত্মীয় স্বজন হিসেবে গর্বিত। এগৌরব আমাদের একার নয় সমগ্র বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালীর।
১৯৬০ সালের ২৯ জুলাই মালয়েশিয়ার তাইপিং পেরেক এলাকায় জন্ম নেয়া সৈয়দ আবুল হোসেন মালয়েশিয়ান বিএন পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি। এর আগে তিনি মিনিষ্ট্রি অব হাউজিং এন্ড লোকাল গভর্নমেন্ট এর চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মালয়েশিয়ান কমিউনিটিতে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি সরকার কর্তৃক দাতু খেতাবে ভূষিত হন। মালয়েশিয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রিধারী সৈয়দ আব্দুল হোসেন বিভিন্ন সময় মালয়েশিয়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে গুরুত্ব পূর্ন দায়িত্ব পালন করেন।
তার পিতার নাম সৈয়দ আবুল ফজল। তিনি ১৯৫৫ সালে বৃহত্তর সিলেটের জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। এবং মালয়েশিয়ান নাগরিকত্ব লাভ করেন। মা মালয়েশিয়ান এবং পিতা বাঙ্গালী হলেও সৈয়দ আবুল হোসেন তাঁর পিতৃপরিচয় এবং পূর্বপুরুষদের নিয়ে গর্ববোধ করেন। যদিও ভাল বাংলা বলতে পারেননা তার পরেও তিনি নিকটাত্মীয় এবং পিতার জন্মভূমিকে ভাল বাসেন। ইংরেজীতে এক ফেইসবুক ষ্টেটাসে তিনি লিখেছেন আমার পূর্বপুরুষ বাঙ্গালী হওয়াতে আমি গর্বিত আমি নিজকে একজন বাঙ্গালী মনে করি। হাফিজ মাওলানা সৈয়দ আবুল ফজলের সাত পুত্র ও পাঁচ কন্যার মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন দ্বিতীয়।
তার বড় ভাই সৈয়দ আবুল হাসান মালয়েশিয়া সরকারের বিত্তি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১৯৮৬ সালে ডাত্তারি পাশ করেছেন। তিনি ২০০০সালে ইন্তেকাল করেন। সৈয়দ সৈয়দ ছাবির আহমদ বলেন কয়েক বছর অন্তর অন্তর বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন তার চাচা সাথে সন্তানদেরও নিয়ে যেতেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন সর্বশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ভ্রমন করে গেছেন। এর আগেও তিনি কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি চান তার সন্তানেরাও যেন বাংলাদশের সাথে সম্পর্ক রাখে সে লক্ষ্যে তিনি তাঁর মেয়েকে তাঁর চাচাত ভাইয়ের ছেলের সাথে বিবাহ দিয়েছেন। তার মেয়ে এবং দামান ইংল্যান্ডের লিডস শহরে বসবাস করেন।
তার চাচাত ভাই সৈয়দ ছাবির আহমদ জানান সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশে বসবাসরত গরীব আত্মীয় স্বজনদের প্রতি খেয়াল রাখেন । সব সময় আত্মীয়তের বিভিন্ন সহায়তা করেন। কয়েক বছর পর পর লন্ডন ভ্রমন করেন। লন্ডনে আসলে আত্মীয়দের সাথে মিলিত হন। সৈয়দ আবুল হোসেনের ভাগিনা যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক সৈয়দ জহুরুল হক বলেন সৈয়দ আবুল হোসেন লন্ডনে আসলে সকল আত্মীয় স্বজন এবং এলাকাবাসীর সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেই এই খবরে আমি দারুন আনন্দিত। বিবাহত জীবনে সৈয়দ অবুল হোসেন ষোল সন্তানের জনক। তিনি তিনটি বিয়ে করেন।
