লন্ডনঃ
বাংলাদেশে নতুন করে চরমপন্থার উত্থান সাউথ এশিয়া তথা বিশ্ববাসীর জন্য উদ্বেগের কারণ। এর নেপথ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সহ আরো কয়েকটি উগ্রবাদী ইসলামিষ্ট দল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যার মূলে ছিল এই জামাতে ইসলামী। এরা নতুন করে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছে। এমন্তব্য পর্তুগিজ রাজনীতিবিদ এবং পর্তুগালের সমাজতান্ত্রিক দলের (পার্টিডো সোশ্যালিস্ট)দলের নেতা এবং ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য পাওলো কাসাকা‘র যিনি ১৯৫৭ সালের ২ জুলাই লিসবনে জন্মগ্রহন করেন।
তিনি আরো বলেন, হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের জন্মের ৫৫ বছর পর সেই হেনরি কিসিঞ্জার দেশ আমেরিকা আবার নতুন করে বাংলাদেশ নিয়ে খেলা শুরু করেছে।
২৫শে জুলাই ২০২৪ বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় সেখানে একটি অভ্যুত্থান ঘটে।তিনি আরো বলেন জামাত ১৯৭১ সালের শেখ মুজিবের সমস্ত পরিচয় মুছে ফেলছে এবং শাহরিয়ার কবিরের মতো বুদ্ধিজীবীদের লক্ষ্য করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।যারা বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য লড়াই করছিলেন। অনেক সাংবাদিক আছেন যাদের কোনও অভিযোগ ছাড়াই এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশ্বাসযোগ্যতা ছাড়াই আটক রাখা হচ্ছে। এই গোষ্টী ১৯৭১ সালের বিজয় দিবস মুছে ফেলতে চায় এবং বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার সাথে জড়িত সকলকে নির্মূল করতে চায়। এই মূহুর্থে আমরা যদি আমাদের আওয়াজ না তুলি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।
বব ল্যান্সিয়া বলেন এটাও বিরক্তিকর যে আমেরিকা পাকিস্তানের পক্ষ নিচ্ছে এবং খুবই বিরক্তিকর। কারণ পাকিস্তান কেবল বাংলাদেশেই নয়, সিন্ধু ও বেলুচিস্তানেও নৃশংসতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশে তৌহিদি জনতার নামে সহিংসতার ক্ষেত্রে কোনও জবাবদিহিতা নেই, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে খুব বড় ঘাটতি রয়েছে। পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতির হার দ্বিগুণ হলেও মার্কিন সাহায্য দেশটিকে বাঁচিয়ে রাখছে, বেশ – আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যাচ্ছি যতক্ষণ না আমরা ইস্পাতে পরিণত হই।ইদানিং নতুন করে আমেরিকার সাউথ এশিয়া এবং বাংলাদেশের উপর আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছে এর নেপথ্যে কি? বিশ্ববাসী জানলেও কেউ মুখ খুলছেনা। এই মন্তব্য রবার্ট “বব” ল্যান্সিয়া‘র যিনি একজন একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং প্রাক্তন মার্কিন নৌবাহিনীর চ্যাপেলিন। যিনি ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি রোড আইল্যান্ড প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ শীর্ষক ব্রিঙ্ক ওয়েবিনারে এই দুই প্যানেলিষ্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন। ব্রিজ বাংলা আয়োজিত ব্রিঙ্ক ওয়েবিনারের উপস্থাপনায় ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রধান সম্পাদক প্রিয়জিৎ দেবসরকার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
