মুহাম্মদ সাজিদুর রহমান :
পহেলা মে, উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও কিংবদন্তিতুল্য সংগীত-প্রতিভা মান্না দে’র জন্মদিনে শুভেচ্ছা ।
১৯১৯ সালের ১ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্ম নেন এই কিংবদন্তি। বাবা পূর্ণ চন্দ্র, মা মহামায়া দে। বাবা-মা, সেই সঙ্গে চাচা সঙ্গীতাচার্য কৃষ্ণ চন্দ্র দের কাছে সংগীতে হাতেখড়ি।
বাংলা বিরহের গানের রাজাই নন, তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সংগীতশিল্পী এবং সুরকারদের একজন। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ প্রায় ২৪টি ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও বেশি সময় সংগীতচর্চা করেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাকেই ভারতীয় গানের ভুবনে সবর্কালের অন্যতম সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করেন অনেক বিশেষজ্ঞ সংগীতবোদ্ধা।
মান্না দে গায়ক হিসেবে ছিলেন আধুনিক বাংলা গানের জগতে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও সফল।
এ ছাড়াও, হিন্দি এবং বাংলা সিনেমায় গায়ক হিসেবে অশেষ সুনাম অর্জন করেন। মোহাম্মদ রফি, কিশোর কুমার, মুকেশের মতো তিনিও পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
সংগীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন। সংগীত ভুবনে তার এই অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মশ্রী, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে।
২০১১ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ প্রদান করে।
শুধু কফি হাউজের আড্ডাই নয়- এমন হাজোরো গান গেয়ে বাংলা এবং ভারতীয় সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে নিজের নাম লিখে রেখেছেন তিনি।
২০১৩ সালের ৮ জুন ফুসফুসের জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাকে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। ২৪ অক্টোবর ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে ওপারে পাড়ি জমান সংগীতের এই অনন্য প্রতিভা।