সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
ছাতকে ১৪৪ ধারা অমান্য করে বসতঘরে হামলা আসবাবপত্র ভাংচুর ও
লুটপাট, নারী-শিশুসহ আহত ৩ ॥ এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রুজ্জু হয়নি মামলা ॥
গ্রেফতার নেই ॥ অসহায় আব্দুল সালাম ও তার পরিবার
সুনামগঞ্জের ছাতকে বসতঘরে হামলা, আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করার ঘটনায় এক
সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থানায় মামলা রুজ্জু করা হয়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ
প্রতিপক্ষের লোকজন ১৪৪ ধারা অমান্য করে বসতঘরে হামলা, আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট
এবং নারী-শিশুসহ ৩ জন আহত হলেও থানায় মামলা রুজ্জু করা হয়নি এমনকি কাউকে
গ্রেফতার করা হয়নি।
জানা য়ায়, উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামের আব্দুল সালাম এর
সাথে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একটি প্রভাবশালি মহলের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে
আসছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) একটি মামলায় হাজিরা দিতে যান আব্দুল সালাম ও তার
পরিবার। অভিযোগ উঠেছে ওই দিন ১১ টার দিকে একই গ্রামের মৃত. মালদার আলীর
ছেলে মানিক মিয়ার নেতৃত্বে আব্দুল সালামের বসতঘরে হামলা চালানো হয়। এসময়
বাঁধা দিলে আব্দুল সালামের ছেলের বউ কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী গৃহবধূ খাদিজা বেগম,
তার চাচী শাশুড়ী রিপা বেগম ও দেবর শিশু নাজিম উদ্দিনকে মারপিঠ করে আহত করা হয়।
হামলাকারীরা এই দুই নারীকে মাথার চুল ও পড়নের কাপড়ে ধরে টানা হেঁচড়াসহ
শ্লীলতাহানি ঘটায়। এছাড়া বসতঘর ভাংচুর এবং লুটপাট করে প্রায় লাখ টাকার
মালামাল ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়। এতে নারী ও শিশুসহ একই
পরিবারের ৩ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় গ্রামের মালদার আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলীসহ
৯জনের নাম উল্লেখ করে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুল সালামের অভিযোগ সকাল ১১ টায় ঘটনা ঘটে। সুনামগঞ্জ কোর্ট
থেকে ফিরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়ের করার পর রাত ১০টা
পর্যন্ত অদৃশ্য কারনে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ এর নির্দেশে ওই দিন রাত ১১ টার
দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এএসপি সার্কেল (ছাতক-দোয়ারা) রনজয় চন্দ্র মল্লিক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্ধেসঢ়;্রর ইনচার্জ আহমেদ ভূইয়া।
এর পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসআই আতিক।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, এএসপি সার্কেল (ছাতক-
দোয়ারা) রনজয় চন্দ্র মল্লিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী আব্দুল
সালাম ।
এ বিষয়ে এসআই আতিক পরিদর্শনের সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ছাতক থানার
ওসি খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ
বিষয়ে এএসপি সার্কেল (ছাতক-দোয়ারা) রনজয় চন্দ্র মল্লিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের
সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসপি স্যারের নিকট প্রতিবদেন প্রেরণ করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ এর সঙ্গে মুঠোফোনে
যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।