জগন্নাথপুর টাইমসসোমবার , ৮ মে ২০২৩, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টাওয়ার হ্যামলেটস সিভিক অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১২ জন কমিউনিটি ব্যক্তি

Jagannathpur Times BD
মে ৮, ২০২৩ ৭:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিউজ ডেস্কঃ

নিজেদের প্রতিবেশী অর্থাৎ আশেপাশের মানুষজন এবং বৃহত্তর কমিউনিটির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা এবং নানাভাবে বারার সুনাম বৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছেন-এমন ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বা কমিউনিটি হিরোকে প্রদান করা হয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস সিভিক অ্যাওয়ার্ড।

সম্প্রতি মাইল এন্ড পার্কের আর্ট প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত এই এওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর শফি আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত চিফ এক্সিকিউটিভ স্টিভ হোলসি বিজয়ীদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এসময় ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইয়ূম তালুকদার, অন্যান্য কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলরগণ, উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় বসবাস বা কাজ করেন কিংবা লেখাপড়া করেন এমন লোকজন, যারা অন্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে স্বীকৃতি দিতেই প্রতিবারের মত গত বছরের শেষের দিকে খোলা হয়েছিলো এই সিভিক অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন। কাউন্সিলের স্পিকারের সভাপতিত্বে এবং কমিউনিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি ক্রস পার্টি প্যানেল সবগুলো মনোনয়ন যাচাই বাছাই করে সিভিক অ্যাওয়ার্ডের জন্য ১২ জনকে বিজয়ী হিসেবে চূড়ান্ত করে।

কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর শফি আহমেদ বলেন, আমাদের এই বারাকে বসবাসের জন্য একটি দুর্দান্ত জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে যারা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং কমিউনিটির কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ হচ্ছে এই সিভিক এওয়ার্ড।

তিনি বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী প্রত্যেকেই তাদের কাছ থেকে যা আশা করা হয় তার থেকেও অনেক বেশি জন সেবায় আত্মনিয়োগ করে চলেছেন। তাই আমি এটা বলতে পেরে আনন্দিত যে আপনি যা করছেন তা আমরা দেখতে পাচ্ছি, এবং আপনি অন্যদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করছেন তার জন্য আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনুর্ধ ২৫ বছর বয়সী কোটায় সিভিক এওয়ার্ড পেয়েছে ১৪ বছর বয়সী লিলিয়ানা নূর। তার কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে অভিবাসীদের অধিকারকে সমর্থন করা, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম বাঙালি কনসার্টে অংশগ্রহণ এবং হাউজ অব পার্লামেন্টে মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূতের সাথে একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের অংশ হওয়া।

মালবেরি গার্লস স্কুলের ছাত্রী লিলিয়ানা টাওয়ার হ্যামলেটস ইয়ুথ কাউন্সিলেরও সদস্য। সিভিক এওয়ার্ড লাভের পর তার প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন, আমি আমার কৃতিত্বের স্বীকৃতির জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং আমি এই এওয়ার্ড পেয়ে খুব সম্মানিত বোধ করছি।

অ্যাওয়ার্ড প্রদানের পেছনে যে কারণ বা অর্জনগুলোকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে-একটি স্থানীয় কমিউনিটি গ্রুপ গড়ে তোলা, যার সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৪ শয়েরও বেশি। তরুণদের সঙ্গীত দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা। টানা ২০ বছরের সার্ভিস যা এই বারায় ১০০০ গৃহহীন মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা এবং বোঝাপড়া বাড়াতে বছরের পর বছর নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। কোভিড—১৯ লকডাউনের সময় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পরিবার এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের কেনাকাটা এবং অন্যান্য কাজে সহায়তা করা। রক্তদাতা হওয়ার জন্য বাসিন্দাদের সাইন আপ করতে তার নিজের কর্মের মাধ্যমে উৎসাহিত করা। কয়েক ডজন প্রতিবেশীর জন্য বহু বছরের নিঃস্বার্থ সহযোগিতা, বিশেষ করে যারা অসুস্থতা, বিচ্ছিন্নতা বা আঘাতের সাথে মোকাবিলা করছেন, যার মধ্যে একজন বয়স্ক প্রতিবেশীকে তাদের নিজের বাড়িতে থাকতে সক্ষম হওয়ার জন্য সমর্থন করা। নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা (ভিএডব্লিউজি) এর স্থানীয় একজন শক্তিশালী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি পুরুষ ভিক্টিম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে কাজ করা। স্থানীয় ফুটবল লীগ গুলোতে ২২ বছরের নিবেদিত পরিষেবার মাধ্যমে বরোর হাজার হাজার লোককে তাদের সুস্থতা বজায় রাখতে, সংযুক্ত থাকতে, ফিট এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করা।

২০২৩ সালের সিভিক অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হচ্ছেন-কমিউনিটি সার্ভিসে অসাধারণ অবদান রাখার ক্যাটাগরিতে –স্যু হিউজ, আলেকজান্ডার ক্যাম্পবেল ওবিই, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, বিল জ্যাকেট, মোহাম্মদ আফসার খান, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম জাহেদী, মিনারা খাতুন উদ্দিন, আতিয়া বেগম ঝর্না।
খেলাধুলা, শৈল্পিক বা সাংস্কৃতিক কৃতিত্বের মাধ্যমে বারার জন্য সুনাম বয়ে আনায় – রশিদ আলী। ২৫ বছরের কম বয়সী একজন তরুণ অর্জনকারী যার কৃতিত্ব গুলি অসাধারণ এবং স্বীকৃত হওয়া উচিত – লিলিয়ানা নূর। স্থানীয় লোকেদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে নিজের দায়িত্বের বাইরে গিয়েও নিরলসভাবে সার্ভিস প্রদান করা – ডাঃ হেলেন জোন্স। ব্যবসায় সফলতা এবং সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কমিউনিটির জন্য সুফল নিশ্চিত করায় – ডকল্যান্ডস কমিউনিটি ইনিশিয়েটিভ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।