অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মে ২০২৩) বিকালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিটিআই প্রধান ইমরান খান এদিন বিকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দুটি শুনানির জন্য উপস্থিত হন, এ সময় তাকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিটিআইয়ের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে রেঞ্জার্স। ইমরানের বিরুদ্ধে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব) জমি বরাদ্দের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। গত ১ মে এ পরোয়ানা জারি করেন ন্যাবের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নাজির আহমেদ বাট।
আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়, একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ৫০ বিলিয়ন রুপি বৈধ করার জন্য কয়েক বিলিয়ন রুপি নিয়েছেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। তার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির মামলাও। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় এসব দুর্নীতি হয়েছে। ইসলামাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইমরানকে।
এই আল কাদির ট্রাস্টের যৌথ মালিক ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশেরা বিবি। মূলত আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এই মামলা। মামলায় অভিযোগ রয়েছে ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশেরা বিবি এবং সংগঠনের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ইমরান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক বাণিজ্যিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছিল। আর সেই বোঝাপড়ার জন্য পাকিস্তান সরকারের ক্ষতি হয়েছিল ৫০ বিলিয়ন টাকা। যা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতিকে আরও ভেঙে দিয়েছিল।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজ়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) থেকে পাকিস্তান সরকারকে পাঠানো ওই ৫০ বিলিয়ন টাকা ইমরান খান এবং তার মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী অপব্যবহার করেছিলেন। শুধু তাই নয়, এই আল কাদির বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির নামে সোহাওয়ার মৌজা বাকরালার ৪৫৮ কানাল জমির (৫৭ দশমিক ২৫ একর) জন্য নিজেদের প্রয়োজন মতো সুবিধা নিয়েছিলেন তেহরিক-ই-ইনসাফের একাধিক নেতা।
এদিকে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।