খান লিটন :
মধ্য ভলকানের দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের একটি পাহাড়ি জনপদ কসোভো। অফিসিয়াল নাম রিপাবলিক অব কসোভো। ৯৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত এ দেশের লোক সংখ্যা মাত্র আট মিলিয়নের মতো। দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান একজন মুসলমান নারী। তার নাম ড. ওভাসী ওসমানী।
যুদ্ধের ডামাডোল থেমে গেলে প্রতিবেশী দেশে যে সমস্ত কসোভো নাগরিকরা পালিয়ে গিয়েছিলেন তারা ফিরে এসে আমেরিকা ও ইউরোপের হাত ধরে দেশটিকে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করছেন। ইউরোপের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
আগামী বছর উন্নত ইউরোপের নাগরিক সুবিধা পাওয়ার কথা হচ্ছে কসোভোর নাগরিকদের। আর তা হলে কসোভোর ৬০ শতাংশ মানুষ ইউরোপে পাড়ি জমাবে। তখন এখানে শ্রমিক ঘাটতি দেখা দেবে। বাংলাদেশ যেহেতু শ্রমিক রপ্তানিকারক দেশ, তাই সরকারিভাবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এ সুযোগটি নিতে পারে সরকার।
এতে বাংলাদেশের যেমন বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়বে, অন্যদিকে কসোভোর শ্রমিক ঘাটতি থাকবে না। কসোভোর ইমারত নির্মাণ, কৃষি কাজ, দোকানপাট ও পোশাক শিল্পে পেশাদার শ্রমিকরা আসতে পারেন। এটি হতে পারে বাংলাদেশের নতুন শ্রমবাজার।
বলা বাহুল্য, এখানে হাতে গোনা দুই একজন ছাড়া কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক নাই। ইতালি সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংকের মাইক্রো ক্রেডিটের প্রকল্প রয়েছে কসোভোতে।