ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব
::
ধূমপান একটি বৈশ্বিক সমস্যা। পরিসংখ্যান অনুসারে, পৃথিবীতে প্রায় ১৪০ কোটি মানুষ ধূমপান করে, পুরুষদের মধ্যে এই হার বেশি।
দেশের প্রায় ৩৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান করে এবং এর ব্যবহার নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই প্রচলিত।
ধূমপানের কোনো উপকার আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নাই, তবে ক্ষতির তালিকা সুদীর্ঘ।
* অনেক স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ এই ধূমপান, যার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো ফুসফুসের ক্যান্সার।
* মুখ, গলা, খাদ্যনালি, অগ্ন্যাশয়, মূত্রাশয়, প্রস্টেট, কিডনিসহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ধূমপান।
* এটি শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি করে, যার ফলে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, এমফাইসেমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস হয়।
* এটি প্রজননতন্ত্রের রোগ তৈরি করে, যেমন—বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভাবস্থায় জটিলতা।
* পরোক্ষ ধূমপানও সমানভাবে ক্ষতিকারক, যা শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করে এবং অধূমপায়ীদের মধ্যে বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি।
* গর্ভাবস্থায় ধূমপান শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের ত্রুটি, অকাল জন্ম, বাচ্চা কম ওজনের হওয়া, গর্ভপাত, মৃতপ্রসব, শিশুর বিকাশজনিত সমস্যা ও জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান বন্ধে করণীয়:
* শুরুতে মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। ধূমপান ছাড়া যত কঠিন, পুনরায় তা চালু করা তত সহজ। বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্যদের সমর্থন এ ক্ষেত্রে মূল্যবান।
* নিকোটিন প্রতিস্থাপন থেরাপি ব্যবহার।
* ধূমপানের তাড়না থেকে মুক্ত থাকতে রং চা, দারচিনি, শুকনো আদা ব্যবহার করা যেতে পারে।
* ব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো স্ট্রেস কমানোর কৌশলগুলো অনুশীলন করা।
* ধূমপান ত্যাগ করার স্বাস্থ্য সুবিধা ও কারণগুলো বারবার মনে করা।
পরামর্শ দিয়েছেন : ডা. এস এম ইয়ার ই মাহাবুব, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক- কার্ডিওলজি বিভাগ, বিএসএমএমইউ ।