নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট :
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে দীর্ঘ একদশকের ডুবন্ত নৌকাকে উদ্ধার করলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ছিলেন সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন ২০২৩) সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সিলেটে চলে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণের সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত থাকলেও কয়েকটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের লাইন থাকায় ৪টার পরে আরও কিছুক্ষণ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়।
সাড়ে ৪টা থেকে আসতে শুরু করে ফলাফল। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সবকি’টি অর্থাৎ- ১৯০টি কেন্দ্রে পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। আর তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট।
৬৮ হাজার ২৯৩ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান।
ফিরে দেখা সিলেট সিটির ফলাফল : ২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হন বদর উদ্দিন কামরান, ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও তিনি কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে জয়ী হন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে ৬ হাজার ১৯৬ ভোটে পরাজিত করে মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পান বিএনপির আরিফুল। এ নির্বাচনে আরিফুল পেয়েছেন মোট ৯২ হাজার ৫৮৮ ভোট। কামরান পান ৮৬ হাজার ৩৯২ ভোট। হার ছিল ৬৩ শতাংশের মতো।
২০১৩ সালে এ সিটিতে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬। ক্ষমতাসীন মহাজোট সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এবং সম্মিলিত নাগরিক জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। ভোট পড়ে ৬২ শতাংশ।
২০০৮ সালে নির্বাচনে সিলেট সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আনারস প্রতীকে পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ ফ ম কামাল পান ৩২ হাজার ৯৭ ভোট ভোট। ভোট পড়ার হার ছিল ৭৫ শতাংশ।