নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আয়োজনে খাদ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী রোববার (২৩ জুলাই) ইতালি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধানের রোম সফরে দেশটির সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করবে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আগামী ২৪-২৬ জুলাই ইতালির রোমে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আয়োজনে খাদ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এ ফোরামে যোগদান করবেন। এজন্য আগামী ২৩ জুলাই রোমের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন তারা। সফর শেষে আগামী ২৬ জুলাই ঢাকা ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী এফএও’র সদর দপ্তরে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক প্লেনারি সেশনে অংশগ্রহণ করবেন।
মোমেন জানান, কৃষিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
সরকারপ্রধান রোম সফরে ২৫ জুলাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী রোমে অবস্থানকালে ২৫ জুলাই ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ‘কো-অপারেশন ইন দ্যা ফিল্ড এনার্জি’, এবং ‘কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ বিষয়ক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারপ্রধানের বৈঠকে কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হবে, জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফরকালে সেখানের অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধ করার বিষয়টি দেশটির সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে।
এনার্জি সেক্টরে সমঝোতার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা ইতালির সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা বাড়াতে চাই। এ নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
ইতালির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ইতালির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আমরা আগ্রহী। এ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনাবেচার ক্ষেত্রে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। রক্ষাকবচ ঠিক রেখেই সিদ্ধান্ত নেব।