মুহাম্মদ সালেহ আহমদ :
গাজিপুর ও নারায়নগঞ্জের পরে তৃতীয় শিল্পাঞ্চল হবিগঞ্জ। সারাদেশের ন্যায় এ সরকারের আমলে হবিগঞ্জের সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে।
আমি হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করি । আর তাতে নিজেকে উৎসর্গ করেছি , আমার নির্বাচনী এলাকা তথা সমগ্র জেলাবাসীর প্রতি আমার গভীর দায়িত্ববোধ এবং পারস্পরিক ভালবাসার নিরিখে।
এমন্তব্য হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলগের সভাপিত হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিতি এমপি অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের।
বুধবার ( ২৬ জুলাই ২০২৩) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের প্লামট্রি বেনকুইটিং হলে প্রবাসী হবিগঞ্জবাসি আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন এখন আর হবিগঞ্জ অবহেলিত জনপদ নয়। হবিগঞ্জের চেহারা পাল্টে গেছে। এলাকার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্টান সহ হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে অনার্স ও মাষ্টার কোর্স চালু, হবিগঞ্জ কৃষিবিশ্ব বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে পারছি।
গাজিপুর ও নারায়নগঞ্জের পরে তৃতীয় শিল্পাঞ্চল হবিগঞ্জ-এখানে লক্ষাধিক মানুষের কর্ম সংস্থান হয়েছে। আমার প্রচেষ্টার যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে।
নতুন নতুন রাস্তা নির্মানের ফলে ঢাকার সাথে সিলেট বিভাগের দূরত্ব কমেছে ৫০ মাইল। এজন্য আমি জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। যা চেয়েছি তিনি আমাকে ফিরিয়ে দেননি। আশপাসের জেলা গুলোতে শত চেষ্টা করেও মেডিকেল কলেজ হয়নি আমি পেয়েছি। সব কিছুর পেছনে রয়েছে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের ভালবাসা। এলাকাবাসীর ভালবাসা থাকলে আমি আরো অনেক কিছুই করতে পারব।
সাবেক ছাত্রনেতা সাংবাদিক এ. রহমান অলি, অজিত লাল দাস ও শাহজাহান কবীরের যৌথ সঞ্চালনায় বিশিষ্ট ক্রীড়া ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোঃ আল নাসিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসে মুত্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুক্তরাজ্য আওয়ামীলগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলেয়া আক্তার, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদশের সহকারী হাইকমিশনার হযরত আলী, ব্যরিস্টার ইফাত জামিল, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি- সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা আমির খান ও গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল সাউথ ইষ্ট রিজিওনের সভাপতি এম.এ আজিজ প্রমুখ ।
সম্বর্ধিত অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইজীবি নেতা ব্যরিস্টার এনামুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুকিত চৌধুরী, তাহির আলী, এডভোকেট মোমিন আলী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক ছাত্র নেতা চৌধুরী ফয়েজুর রহমান মোস্তাক, কবি গবেষক জাহাঙ্গির রানা, শাহ রাসেল, শাহ সহিদ আলী, শাহ ফয়েজ, সাইফুর রহমান হেলাল, হবিগঞ্জ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি ইসমত আরা, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলগ নেতা লুৎফুর রহমান সায়াদ, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ছুরুক আলী, দেওয়ান আব্দুর রব প্রমুখ।
সভায় বক্তরা আধুনিক হবিগঞ্জের রূপকার জননেতা আবু জাহির এসপিকে মন্ত্রী হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাকে মন্ত্রী করতে পারেন, সর্বস্থরের হবিগঞ্জবাসীর দাবী তাকে মন্ত্রী করা হউক। তিনি মন্ত্রী হলে হবিগঞ্জ তথা বৃহত্তর সিলেটের মানুষ উপকৃত হবে।