মুহাম্মদ সালেহ আহমদ :
লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ট পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তরুণ প্রজন্মের তিনজন ব্রিটিশ বাংলাদেশীকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখায় শেখ কামাল ডায়াসপারা অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন হামজা চৌধুরী, প্রীতম দাস ও নাদিয়া আলী।
শনিবার (৫ আগষ্ট ২০২৩) সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের একটি সেন্টারে কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারী মাহফুজা রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ কামাল ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করেন ব্রিকলেন জামে মসজিদের খতিব মৌলানা নজরুল ইসলাম।
পরে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমের নেতৃত্বে অতিথিবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
শেখ কামালের গৌরবময় ও সংগ্রাম গাঁথা জীবনের উপর বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, সৈয়দ মোজাম্মিল আলী ও উদয় শংকর দাস প্রমুখ।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ ক্রীড়া, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে শহীদ শেখ কামালের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন- শেখ কামাল এসব গুনাবলী তার পরিবার থেকে পেয়েছেন যা তার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে।
হাই কমিশনার জাতির জনকের জেষ্ঠ্যপুত্র শেখ কামালের বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানির এডিসি ছিলেন।
হাইকমিশনার বলেন, শহীদ শেখ কামালের স্বপ্ন জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ দিকগুলি বাঙালি জীবনের আদর্শ হিসেবে প্রতিফলিত হচ্ছে।