আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ার।
বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
দিবসের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও হাইকমিশনার মো: গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
শোক দিবসের আলোচনার শুরুতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে, শ্রম কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম, দূতালায় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, প্রথম সচিব পাসপোর্ট ও ভিসা মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামুদ্দিন ও প্রথম সচিব শ্রম সুমন কুমার দাস।
আলোচনা সভায় হাইকমিশনার মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেদিন বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশের আত্মবিকাশকে রুদ্ধ করে দেয়াই ছিল এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড জাতির অস্তিত্ব ও মননে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবে সে ক্ষতের কিছুটা উপশম হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে খুনিদের বিচারের মাধমে ।
অনুষ্ঠানে ডিপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, কমডোর মোস্তাক আহমেদ, কাউন্সিলর কন্স্যুলার জি এম রাসেল রানা, প্রথম সচিব (শ্রম) এএসএম জাহিদুর রহমান, দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তা এবং মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।