মুহাম্মদ সালেহ আহমেদ :
যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সী নাতনীর সঙ্গে জিসিএসই (জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তার ৮১ বছর বয়সী বাংলাদেশি দাদা আব্দুল মতিন।
লন্ডনের উড গ্রিনে বসবাসরত মোহাম্মদ আব্দুল মতিন জানান, তার সবচেয়ে ছোট নাতনিকে উৎসাহিত করতেই এবারের জিসিএসইতে উচ্চতর গণিতে পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন।
আব্দুল মতিন বলেছেন, করোনা মহামারীর কারণে তার নাতনি নাটালিয়ার পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটেছিল। তাকে অনুপ্রাণিত করতেই একসঙ্গে পরীক্ষার টেবিলে বসার সিদ্বান্ত নেওয়া হয়।
অবসরপ্রাপ্ত স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন এডমন্টনের ষষ্ঠ ফর্মের পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, কিশোর-কিশোরীদের পাশে পরীক্ষার হলে ৮১ বছর বয়সে তাকে নতুন করে প্রেরণা জুগিয়েছে।
আব্দুল মতিনের আরেক নাতনি কেয়া বলেছেন, দাদা বরাবরই পড়াশোনা ও শেখার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। একজন প্রবল শিক্ষানুরাগী মানুষ হিসেবে শিক্ষাবিস্তারে তিনি তার আবেগ ও ভালবাসার জায়গা থেকে কাজ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের স্কুলে তার জীবনের অর্জিত প্রচুর অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। বিশেষত ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অনেক মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। মতিন তার ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে নাতনিদের বলেছেন, যখন তিনি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তখন তাদের কাছে একটি ক্যালকুলেটরও ছিল না।
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন প্রথমে বাংলাদেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৩ সালে যুক্তরাজ্যে আসার পর তিনি অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং আরেকটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেন। যুক্তরাজ্যে তিনি ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনে বহু বছর প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করে অবসর নেন।