জগন্নাথপুর টাইমসবুধবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. খেলা
  3. গ্রেট ব্রিটেন
  4. ধর্ম
  5. প্রবাসীর কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. বিনোদন
  8. বিশ্ব
  9. মতামত
  10. রাজনীতি
  11. ল এন্ড ইমিগ্রেশন
  12. লিড নিউজ
  13. শিক্ষাঙ্গন
  14. সাহিত্য
  15. সিলেট বিভাগ
 
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে একদিনে ৮৭২ জন অভিবাসন প্রত্যাশী যুক্তরাজ্য উপকূলে

Jagannathpur Times BD
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩ ৮:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এসকেএম আশরাফুল হুদা : :

ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে উত্তর ফ্রান্স উপকূলে থেকে রেকর্ড ৮৭২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্য উপকূলে পৌঁছেছেন।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) তারা যুক্তরাজ্য উপকূলে পৌঁছান বলে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এর আগে গত ১০ আগস্ট রেকর্ড ৭৫৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্যের উপকূলে পৌঁছেছিলেন।

কিন্তু শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম পণ্য পরিবহন রুট ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে ৮৭২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাজ্যে যান। এদিন মোট ১৫টি নৌকায় এসেছিলেন তারা।

এর ফলে চলতি বছর ইংলিশ উপকূলে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়াল। তবে সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো কম। তারপরও যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য এটি মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া অর্থাৎ ব্রেক্সিটের পর অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছিল লন্ডন। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে ‘নৌকা থামানোকে’ তার প্রধান পাঁচ অগ্রাধিকারের মধ্যে রেখেছেন।

তার নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার ইংলিশ চ্যানেল হয়ে আসা অভিবাসন রুটটিকে ‘অবৈধ’ বলে চিহ্নিত করেছে। এমনকি, ছোট নৌকা নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকানোর ‘শেষ অস্ত্র’ হিসেবে একটি আইনও পাস করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

নতুন এ আইন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসাকে ‘আইন বহির্ভূত’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে যারা এ অভিবাসন রুট দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসবেন, তারা দেশটিতে আশ্রয় চাওয়ার অধিকার হারাবেন।

শুধু তাই নয়, এ আইনের আওতায় চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিজ দেশে অথবা নিরাপদ তৃতীয় দেশে কিংবা যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর আগে যে দেশ হয়ে এসেছেন, সেসবের কোনো একটি দেশে ফেরত পাঠাতে পারবে সরকার।

অন্যদিকে, তৃতীয় নিরাপদ দেশ হিসেবে আফ্রিকার রুয়ান্ডাকে বেছে নিয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের সেখানে পাঠাতেও সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। তবে আদালতের রায়ে বিষয়টি এখনো আটকে আছে।

২০১৮ সাল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হিসাব রাখতে শুরু করেছে ব্রিটেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি অভিবাসী এ ভয়ংকর অভিবাসন রুট পেরিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছেন।

এর ফলে ব্রিটেনের আশ্রয় ব্যবস্থার ওপর তীব্র চাপ তৈরি হয়েছে। যুক্তরাজ্যে আশ্রয় আবেদন গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, আশ্রয় আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দিতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। কারণ, নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা অর্থাৎ ব্যাকলগ গত জুনে রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা আশ্রয় আবেদন সংখ্যা এক লাখ ৩৪ হাজার। আর নির্ভরশীলদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে সেই সংখ্যাটি হয় এক লাখ ৭৫ হাজার ৪৫৭। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই এই ব্যাকলগ শেষ করতে চান তিনি।

গত এক দশকে চ্যানেলের জলে অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে গিয়ে গত ১২ আগস্ট এ চ্যানেলে অন্তত ছয় জন অভিবাসী মারা গেছেন। তাদের সবাই আফগান নাগরিক। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৫৯ ব্যক্তিকে। এ অভিবাসন রুটটি বারবার বিপজ্জনক প্রমাণিত হওয়ার পরও থামছে না অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন।  সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস / ছবি সংগ্রহ

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।