মুহাম্মদ সালেহ আহমেদ :
শক্তিশালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশকে ৫ লাখ পাউন্ড পুরস্কার দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই অর্থ দুর্যোগের আগে এবং পরে বাংলাদেশ সরকার, দাতা সংস্থা, জাতিসংঘ এবং এনজিওদের কাজে সমন্বয় করতে সহায়তা করবে। এই অর্থ যেন অতিজরুরি ত্রাণ প্রয়োজনে এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকেদের কাছে পৌঁছানো হয় সেটিও তারা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকম্পের জন্য নতুন ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং আকস্মিক পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করবে, সেইসঙ্গে দুর্যোগ আঘাত হানার আগে জনগণ যেন সঠিক পূর্বাভাস পেয়ে তাদের জীবন রক্ষার জন্য সতর্ক ব্যবস্থার নিতে পারে সে বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন পরিচালক ও বাংলাদেশে ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেছেন, গত বছর সিলেটে এবং এ বছর চট্টগ্রাম বিভাগে ভয়াবহ বন্যা দেখিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ কতটা দুর্বল। তাই বাংলাদেশে বৃহত্তর দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী অফিসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে যুক্তরাজ্য গর্বিত। আমি বাংলাদেশ সরকার এবং ইউএনডিপির দুর্যোগ প্রতিরোধ সপ্তাহের সময় এটি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইস বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে জাতিসংঘ এবং এনজিওগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াবে। ফলস্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সমর্থন জোরদার হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরাও সহায়তা পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং এর কারণে তীব্র বিপর্যয় মানে এই কাজটি এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রচেষ্টাগুলো প্রধানত উন্নত প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা, পূর্বাভাস সংক্রান্ত কার্যকরী পদক্ষেপ, দুর্যোগের সময় দ্রুত এবং সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়াকে কেন্দ্র করেই আগাচ্ছে।